|
|
|
|
টুকরো খবর |
কথা, কবিতা গানে স্মরণ ভাষা দিবস
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কোথাও বাংলা পত্রিকার প্রদর্শনী, কোথাও বা পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার জেলায় পালিত হল ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। এ দিন সকালে মেদিনীপুর শহরে রবীন্দ্রমূর্তির পাদদেশ থেকে একটি বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বেরোয়। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক-শিল্পী সঙ্ঘের উদ্যোগেই এই শোভাযাত্রা। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সেই শোভাযাত্রা। সন্ধ্যায় শহরের এক সভাগৃহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে কথায়-কবিতায়-গানে স্মরণ করা হয় একুশে ফেব্রুয়ারির সেই শহিদদের, যাঁরা বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অনুত্তম ভট্টাচার্যকে। ‘যাদের দেখে না কেউ’ সংস্থার উদ্যোগেও শহরের রাঙামাটি এলাকায় এ দিন এক বাংলা পত্রিকার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকাগুলি রাখা হয়। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলি দেখতে ভিড় হয়। |
ধর্মঘট নিয়ে বিতর্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন এবং আইএনটিইউসি-র ডাকে ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী যে সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তার সমর্থনে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু হয়েছিল। ধর্মঘটের বিরোধিতাতেও প্রচার শুরু করেছে মূলত তৃণমূলপন্থী ইউনিয়ন। ওই দিন যাতে সরকারি কর্মচারীরা অফিসে হাজির থাকেন সে জন্য অফিসে-অফিসে প্রচার চালাচ্ছে স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (ইউনিফায়েড)। ওই দিন কোনও কর্মচারী অফিসে গেলে যাতে বাধা দেওয়া না-হয়, উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়সে জন্য মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে সংগঠনের জেলা সম্পাদক অরুণ প্রতিহার বলেন, “এই ধর্মঘট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই কাজের দিন নষ্ট না করে সবাইকে অফিসে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।” মূল্যবৃদ্ধি রোধ, নয়া পেনশনবিধি বাতিল, খুচরো ব্যবসায় বৃহৎ পুঁজির অনুপ্রবেশ বন্ধ, অনিয়মিত ও আংশিক সময়ের কর্মীদের নিয়মিতকরণ-সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে ২৮ তারিখ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী ইউনিয়নগুলি। ধর্মঘট সফল করতে সোমবারই অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহরের এলআইসি-চকে একটি পথসভার আয়োজন হয়। উল্টোদিকে স্টেট গভনর্র্মেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের দাবি, বামফ্রন্টের আমলে ৩২ শতাংশ ডিএ বাকি পড়েছিল, গৃহনির্মাণ ঋণের সুযোগ প্রত্যাহার করা হয়, লক্ষ লক্ষ অস্থায়ী কর্মী স্থায়ী হননি। তা সত্ত্বেও সে সময়ে বামপন্থী কর্মচারী সংগঠনগুলি চুপ করে ছিল। আর বর্তমান রাজ্য সরকার বাকি পড়ে থাকা ডিএ দিয়েছে, বোনাস বাড়িয়েছে। তাই এই ধর্মঘট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। |
|
|
|
|
|