বছরের গোড়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতির পর্যালোচনায় যে পদক্ষেপ করেছিল, তার জেরে দ্রুত এগিয়ে চলেছে শেয়ার বাজার। মঙ্গলবারও চাঙ্গা ছিল বাজার। এই দিন সেনসেক্সের উত্থান হয়েছে ১৩৯ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক থিতু হয়েছে ১৮,৪২৮.৬১ অঙ্কে। যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এমনিতে এই মুহূর্তে বাজারে তেমন কোনও সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার আগাম লেনদেনের বাজারে ফেব্রুয়ারি মাসের সেট্লমেন্ট হওয়ার কথা। আগাম লেনদেনে যাঁরা শেয়ার হাতে না-থাকা সত্ত্বেও তা বিক্রি করে রেখেছেন, তাঁদের শেয়ার হস্তান্তর করতে হবে। হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত হতে এ দিন তাঁরা শেয়ার কিনতে বাজারে নেমে পড়ার জন্য সূচক উপরের দিকে উঠে যায়।
রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ (আরআইএল)-এর শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় ৩.১% বেড়ে যাওয়াও এ দিন সূচকের উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে। বাজার সূত্রে খবর, রাশিয়ার বৃহত্তম পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থা সিবুর-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ চূড়ান্ত হওয়ার খবরেই সংস্থার শেয়ার দর বাড়তে থাকে। যৌথ উদ্যোগে আরআইএলের মালিকানা থাকবে ৭৪.৯%। জামনগরে রাবার কারখানা গড়তে এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে লগ্নি করবে সংস্থা।
মাস দেড়েক ধরে এক লপ্তে সূচকের বড় মাপের উত্থান না-হলেও নিট হিসাবে সূচকের গতি উপরের দিকেই। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশেষ কোনও অঘটন না-ঘটলে বাজেটের পর সূচক দ্রুত বাড়বে। বাজেট নিয়ে অবশ্য শেয়ার বাজার মহলের তেমন বড় কিছু প্রত্যাশা নেই। শুধু একটাই চাহিদা, শিল্প ও বাজার নিয়ে যেন নেতিবাচক কোনও প্রস্তাব বাজেটে না থাকে।
দেশের বাজার সম্পর্কে বিদেশি লগ্নিকারীদের মধ্যে উৎসাহ ইতিমধ্যে অনেকটাই বেড়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, চলতি মাসে এ পর্যন্ত সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে ১৪,৪৬১ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। বাজার মহলের আশা, বিদেশি সংস্থাগুলির লগ্নি ক্রমশ বাড়বে।
প্রধানত দুটি কারণেই বাজারের হাল ফিরতে শুরু করেছে। প্রথমত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার না কমালেও তা বাড়ানোর পথে এখন আর হাঁটবে না বলে লগ্নিকারীদের মনে বিশ্বাস জন্মেছে। পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমার হাত ধরে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মনে করছে শেয়ার বাজার। |