প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করে গেলেন সিউড়ি ১ ব্লকের বিডিও বিনায়ক ঘোষচৌধুরী। তিনি মঙ্গলবার স্কুলে এসে গ্রামবাসী, শিক্ষক, স্বনির্ভর দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এ দিন প্রধান শিক্ষক পূর্ণচন্দ্র চট্টরাজ না আসায় তদন্ত সম্পূর্ণ করতে পারেননি বিনায়কবাবু। দিন সাতেক আগে ওই ব্লকের ভুরকুনা পঞ্চায়েতের লালমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ ছিল মিড-ডে মিল-সহ একাধিক খাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক। পরে সদাইপুর থানার পুলিশ ও বিডিও-র হস্তক্ষেপে তিনি মুক্ত হন।
বিডিও বিনায়কবাবু বলেন, “ওই দিনের ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ছুটিতে আছেন। ফলে সমস্ত কাগজপত্র দেখতে পাইনি। সব কিছু দেখার পরেই বোঝা যাবে অভিযোগ কতটা ঠিক। প্রধান শিক্ষক না আসা পর্যন্ত এক জন শিক্ষককে মিড-ডে মিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০১ জন পড়ুয়া আছে। প্রধানশিক্ষক-সহ তিন শিক্ষক আছেন। জেলার অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিলের দায়িত্ব স্বনির্ভর দলের হাতে থাকলেও এই স্কুলে ভিলেজ এডুকেশন কমিটির হাতে আছে। পদাধিকার বলে মিড-ডে মিল বাবদ বরাদ্দ প্রধান শিক্ষকের হাত দিয়ে খচর হয়। অভিভাবক শেখ নাসিরুদ্দিন, শেখ সামাদ, শেখ আলি হোসেনদের অভিযোগ, “আমরা লক্ষ্য করেছি, প্রধান শিক্ষক নিম্নমানের খাবার খাওয়াচ্ছিলেন। স্বনির্ভর দলের সদস্যদের জিজ্ঞাসা করি কী রান্না হচ্ছে। তাঁদের কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয়। তখন প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করেও সদুত্তর না মেলায় ঘেরাও করা হয়। তিনি স্কুলের আরাও নানা খাতে খরচ বেশি দেখাতেন।” জামালবাবা স্বনির্ভর দলের নেত্রী নজিলা বিবির দাবি, “শিশুদের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ থাকে, তার থেকে অনেক কম জিনিস দিতেন প্রধান শিক্ষক।” তবে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলেও প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। |