এক নির্মাণ সহায়কের বিরুদ্ধে ১০০ দিন কাজের প্রকল্প রূপায়ণে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন বারাবনির পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। বারাবনির বিডিও জুলফিকার হাসান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে নির্মাণ সহায়ক ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পানুড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ মার খাচ্ছে। যারা ওই কাজ করেন, তাঁরা নিয়মিত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “পঞ্চায়েতের তরফে এই কাজগুলি আমি দেখাশোনা করি। বেশ কিছু দিন ধরেই আমি অভিযোগ পাচ্ছিলাম। খোঁজ নিয়ে জানলাম, প্রকল্পের নির্মাণ সহায়ক সুপ্রিয় দাস নিয়মিত দফতরে আসছেন না। এলেও অত্যধিক দেরি করে আসছেন। ফলে সময় মতো কাজগুলি হচ্ছে না।” উপপ্রধানের অভিযোগ, “সতর্ক করা সত্ত্বেও উনি কথা শোনেননি, অসহযোগিতা করেছেন।” শেষমেশ এ ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য তিনি বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের আনা অভিযোগ কতটা সত্য, ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে একপ্রস্ত খোঁজখবর করেছেন বারাবনির বিডিও জুলফিকার হাসান। তিনি বলেন, “অভিযোগ পেয়েই আমি তদন্ত শুরু করি। প্রাথমিক ভাবে জেনেছি, ওই নির্মাণ সহায়ক নিয়মিত ও সময় মতো দফতরে আসছেন না বলেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই অভ্যাস শোধরানোর জন্য তাঁকে চিঠি দিয়েছি।” বিডিও আরও জানান, অভিযুক্ত নির্মাণ সহায়ক ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের রিপোর্টও সময় মতো বানাতে পারেননি। ফলে এলাকার উন্নয়ন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ওই ব্লকে পানুড়িয়া পঞ্চায়েতেই ১০০ দিন কাজের প্রকল্প রূপায়ণ সবচেয়ে ভাল হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সুপ্রিয় দাস নামে ওই নির্মাণ সহায়ক অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “পারিবারিক সমস্যা থাকায় নিয়মিত দফতরে আসতে পারি না। তবে নিয়মমাফিক ছুটি নিয়ে কামাই করি। কোনও ভাবেই প্রকল্প রূপায়ণে অসহযোগিতা করি না।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, অসত্য কথা বলে ‘অন্যায় চক্রান্ত’ করা হচ্ছে। অন্য দিকে, তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জড়িত প্রায় পাঁচশো গ্রামবাসীকে নিয়মিত কাজ দেওয়া ও সময় মতো পাওনাগন্ডা মেটানোর দাবি তুলেছে। |