জ্যান্ত পোকার গায়ে মূল্যবান হিরে
সুনীল দাস
১৯৩৯ সালে দক্ষিণ কলকাতার ১০ সি, রজনী ভট্টাচার্য লেনে আমার জন্ম। আমরা তিন ভাই, তিন বোন। বাবা ব্যবসা করতেন। পড়তাম চেতলা বয়েজে। একটা ঘটনার কথা বলি, সে-দিনটা সম্ভবত ছিল রবিবার। পিকনিকের আগের দিন রাত্রিবেলা ঠিক করলাম মুরগি চুরি করব। জেনেছিলাম ভিজে গামছা দিয়ে ধরলে মুরগি আওয়াজ করে না। এ ভাবেই চলছিল মুরগি পার করা। শেষ মুরগিটা যখন ধরছি ঘটল এক কাণ্ড। সে-দিন পাড়ায় কেউ মারা গিয়েছে, খাট কিনে নিয়ে যাচ্ছে কয়েক জন। তারা আমাদের এই অপকর্ম দেখে ফেলে। পরের দিন মহা সমারোহে পিকনিক চলছে। জানা গেল, পাড়ায় মুরগি চুরি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আমাদের কঠিন শাস্তি হবে। মাথায় উঠল মুরগি খাওয়া। কোনও রকমে পিকনিক সেরে পাড়ায় ঢুকলাম। বয়স্করা যেন আমাদের আসার অপেক্ষাতেই ছিলেন। নাকে খত দিতে হল।
রবিবার আমার কিছু বিশেষ কাজ থাকে। দেশ-বিদেশের প্রচুর বন্ধুদের ফোন রিসিভ করা, তাঁদের চিঠির উত্তর দেওয়া। সপ্তাহে ছ’দিন ছবি আঁকি, রবিবার বিক্রি করি।
১৯৫৯ সালে প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাই, তখন আমি ছাত্র। ছাত্রাবস্থায় জাতীয় পুরস্কার আর কেউ পাননি। তার পর আরও কয়েক বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি কিন্তু প্রথম বারের পাওয়াটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। আর্ট কলেজে প্রতিবছর ফার্স্ট হতাম। ১৯৫০-এর দশকে আর্টের অবস্থা ছিল অন্ধকার। কেউ আর্টিস্ট হতে বলত না, বলত ডাক্তারি পড়ো, শিক্ষক হও। মনের প্যাশন, তাই আর্ট কলেজে ভর্তি হলাম। ১৯৫৬ সাল, ভর্তির পরীক্ষা দিলাম, আমার আঁকা দেখে আমাকে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করা হল। শিক্ষক ছিলেন বসন্ত গঙ্গোপাধ্যায়, বি সি রায়, প্রদোষ দাশগুপ্ত সব তাবড় তাবড় শিল্পী।
১৯৬০ সালে ফ্রেঞ্চ গভর্নমেন্ট থেকে ফেলোশিপ পেয়ে প্যারিস গেলাম ছবি নিয়ে গবেষণা ও চর্চার জন্য। ছিলাম চার বছর। থাকতাম ম্যাডাম ব্লঁসের বাড়ি। এই ব্লঁস ছিলেন এক জন মোটাসোটা মহিলা এবং খুবই ফ্যাশন প্রিয়। তিনি একটি গলাবন্ধ রোব পরতেন, মাথায় থাকত একটি পালক লাগানো টুপি। সোয়েটারের গায়ে চেন দিয়ে লাগানো থাকত একটি জ্যান্ত পোকা। পোকাটির গায়ে আবার মূল্যবান হিরে বা অন্য ধাতুর মিনে করা। পোকাটা সোয়েটারের ওপর হেঁটে চলে বেড়াত। এটাই ছিল ফ্যাশন। ম্যাডামের বয়স তখন চল্লিশ বছর। আমাকে ডাকতেন ‘মো পেতি সা’ বলে। ইংরেজি করলে হয় ‘মাই লিটল ক্যাট’। আমার বয়স তখন কুড়ি বছর। ম্যাডামের বাড়িটা ছিল কাঠের। আমি তার চার তলায় থাকতাম। ছবি আঁকতাম কাঠ খোদাই করে। অল্প বয়সে আমি দেখতে খুব হ্যান্ডসাম ছিলাম। আমার প্রচুর মহিলা ফ্যান ছিল। রবিবারে প্রচুর মহিলারা দেখা করতে আসতেন আমার সঙ্গে। ভিজিটররা ছেলে হলে অসুবিধে ছিল না, মহিলা হলেই তাদেরকে ম্যাডাম ভাগিয়ে দিতেন ‘মঁসিয়ে দাস ইল্লেপালা’ বলে। মানে মিস্টার দাস বাড়িতে নেই। সে কী কাণ্ড! সারা প্যারিস রটে গিয়েছিল আমি ম্যাডামকে বিয়ে করব। তিনি আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিয়ে করার। প্যারিস ছাড়া পর ভাবলাম, যাক ম্যাডামের হাত থেকে তো নিস্তার পেলাম।
আমার প্রিয়

রং: মুহূর্তের ওপর নির্ভর করে
পোশাক: কুর্তা, পাজামা
খাবার: পোস্ত বাটা, নিমপাতা ভাজা, ডুমুর ভাজা,
গরম ভাতে আলু, গাওয়া ঘি, কাঁকড়া, চিংড়ি, চ্যালা মাছ।
অন্য প্রান্তের বিদেশি খাবারও আমার খুব প্রিয়।
যেমন, নানা ধরনের চিজ, লবস্টার, স্যামন
সাহিত্যিক: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী,
জয় গোস্বামী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
দেশপ্রিয় পার্কের ‘সুতৃপ্তি’ রেস্তোরাঁয় রবিবার চলত আমাদের জমজমাট আড্ডা। সত্যজিৎ রায়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভানু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু পালিত, বংশী চন্দ্রগুপ্ত এঁরা অনেকেই থাকতেন রবিবারের এই আড্ডায়।
১৯৬৫ সাল, তখন আমি দিল্লিতে। এখন যেখানে দিল্লির পালিকাবাজার সে সময় সেখানে ছিল খোলা মাঠ। সেখানে ‘গে লর্ড’ রেস্তোরাঁর পাশে ছিল আমাদের আড্ডার ঠেক। এই আড্ডায় আসতেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেন, শান্তি দাবে, কিষণ খন্না, স্বামীনাথন প্রমুখ। আমাদের উদ্যোগে সেখানে একটা স্থায়ী কফি শপ তৈরি হল। আড্ডায় রাজনৈতিক আলোচনাও চলত জোরদার। ইন্দিরা গাঁধীর আমলে জরুরি ব্যবস্থা জারি হওয়ায় বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হল।
সেই বছরেই দিল্লিতে আমার ছবির প্রদর্শনী দেখতে এলেন জে ডি টাইটলার। আমার আঁকা ছবিগুলো তাঁর খুব ভাল লেগেছিল। এর পর পরিচয় হল তাঁর সঙ্গে, ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠল। তাঁর একটা স্কুল আছে সেখানে আমি আর্ট টিচার হিসেবে জয়েন করলাম। তাঁর পালিত ছেলে (পরে যিনি মন্ত্রী হয়েছেন) জগদীশ টাইটলার আমার ভাল বন্ধু।
আমার একটা নিজস্ব আর্ট গ্যালারি আছে, ‘গ্যালারি সুনীল’ বলে। এখানে রাত দশটার পরেও ছবিপ্রেমীরা আসেন কেউ ছবি দেখতে, কেউ বা কিনতে। এখানে তাদের আতিথেয়তারও ব্যবস্থা রয়েছে। বিদেশে দেখতাম রাত্রি দশটার পরে আর্টিস্ট স্টুডিয়োতে মানুষ ছবি দেখতে আসে। এই বিষয়টা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সম্প্রতি খুলেছি ‘সুনীল দাস আর্ট ফাউন্ডেশন’। ঠিক করেছি এখানে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা রাখব। এই টাকার থেকে মাসে যে সুদটা আসবে সেটা কাজে লাগাব আমার আর্ট কলেজের ছেলে-মেয়েদের সাহায্যার্থে। আর আমার মৃত্যুর পর এটা ট্রাস্টির সম্পত্তি হয়ে যাবে।
আমি চেন স্মোকার ছিলাম। দিনে একশোটা সিগারেট খেতাম। এক সময় আমার ডান হাতের তর্জনিটা পচে গেল। আঙুলের কিছুটা অংশ অপারেশন করে বাদ দিতে হল। প্রায় আট বছর হল বাঁ হাতে ছবি আঁকছি। পা দিয়েও ছবি আঁকি। মনে পড়ছে, একটা গ্রামীণ চিত্র এঁকেছিলাম পা দিয়ে। মেঘলা দিনে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা, কাদা-মাটি-জলে পূর্ণ পাকা ধানের খেত, সেখানে একটা মোটা ধানের শিসের ওপর প্রজাপতি বসে আছে।
আমি এখন ছবি আঁকছি, কিন্তু কাল আমি কী করব জানি না। আমার শরীর, আমার রক্ত, আমার মন বলে দেয় কাল কী কাজ করব। আর্ট কলেজের ছেলেদের আমি সব সময় বলি নিজেদের সত্তা তৈরি করো, জীবনে চ্যালেঞ্জ নিতে শেখো আর মানুষকে ভালবাসতে এবং শ্রদ্ধা করতে শেখো।
জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। আজ সাফল্যের যে চূড়ায় পৌঁছেছি তার মূলে অবদান রয়েছে আমার স্ত্রী গীতার। তাকে ছাড়া জীবনের গতি স্তব্ধ হয়ে যাবে।
সাক্ষাৎকার: পিয়ালী দাস
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য্য

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
যে দেশে ভারতীয় ক্রিকেট দল খাতাই খুলতে পারল না (টেস্ট সিরিজে), সেই অস্ট্রেলিয়াতেই ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার তাঁর সাফল্যের কাহিনি আরও এক ‘পেজ’ লিখে ফেললেন!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

ভারতীয় ক্রিকেট: কোই পারফরমেন্স না রহা, কোই ‘সহারা’ না রহা!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর

সল্ট লেকের জলের ট্যাঙ্কগুলি ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ ইত্যাদি মনীষীদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। অতএব এখন থেকে আমরা মানতেই পারি লবণ হ্রদের জল চরণামৃত সমান। যেমন ধরুন, ঋষি অরবিন্দ ট্যাঙ্কের জল যাঁরা পান করবেন, তাঁরা সেই ঋষির চরণামৃত পান করছেন ভেবে নিজেদের ধন্য মনে করতেই পারেন। এও এক অবাক জলপান!
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ

যে মানুষটি নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে ‘গুটিবসন্ত’ আক্রান্ত শবদেহগুলি একে একে মাটির নীচে পোঁতালেন, যাতে ‘রোগ’ ছড়িয়ে না পড়ে; তাঁকে জেল থেকে জামিন দেওয়া হল ঠিক এই সময় যখন ‘বসন্ত’ জাগ্রত দ্বারে! এটা কাকতালীয় না কোকিলতালীয় বোঝা দায়!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল

৮০০ ক্লাবকে ১৬ কোটি অনুদান: ‘সবুজ’ মাঠে নিয়মিত অনুশীলনের রসদ!
লবকুশ। ভাণ্ডারকোলা

ভোটের আগে অনেক প্রশ্ন ছিল গৌতম দেবের। এ বার ‘উত্তর’ পেলেন!
সায়ন্তন দত্ত। রবীন্দ্রপল্লি

মুখে বড় বড় পরিবর্তনের কথা বললেও সিপিএম জেলাস্তরে পুরনো নেতাদেরই রেখে দিচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, মার্ক্সবাদী মতেও পুরনো চাল ভোটে বাড়ে!
গিরিবালা শীল।

শোনা যাচ্ছে স্থানীয় সংগঠনের চাপেই লক্ষ্মণ শেঠ, দীপক সরকার, গৌতম দেবের মতো লোকেদের ক্ষমতায় রাখা হচ্ছে। নতুন লোক হলেই নাকি ক্যাডাররা ‘ক্যাডা রে!’ বলে ধাওয়া করবে!
পূর্ণিমা পাল। কুসুমকানন

তৃণমূলের ‘শোভন’দের সময় খারাপ যাচ্ছে। শোভনদেবের হাত থেকে ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতিত্ব গেছে। মেয়র শোভনের হাত থেকে পুর বিভাগ। বিরোধীরা ‘অশোভন’ বলে চেঁচিয়ে লাভ হবে কি?
শান্তনু দত্ত। পল্লিশ্রী
মাঠে গোহারান হেরে তবু নাহি হারি!
সত্যিই তোমাদের যাই বলিহারি।
ব্যাট হাতে নেই কাজ, মুখে তাই খই ভাজ।
সব ছেড়ে মাপো আজ, আকমলে কত ভাঁজ!
পরাজয় সরাসরি মানতে যে নারি।
ঘুঁটে মালা নাও ভণ্ড, ক্রিকেট দল ইংলন্ডো!
অমরকুমার মুখোপাধ্যায়
পিউকে যখন আমি প্রথম দেখি পিউয়ের বয়স হবে বছর বারো। ওর বুকে সবেমাত্র কুঁড়ি গজিয়েছে। আর আমি সমরেশ। আমার বয়স তখন বছর ছাপান্ন। পিউকে এত সুন্দর দেখতে যে ওর দিকে এক বার তাকালে সহজে চোখ ফেরানো যায় না। আমিও চোখ ফেরাতে পারিনি। পিউ যে আমার তাকানোতে আমার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছিল তা নয়। বরং আমি পার্কের যে বেঞ্চিতে বসেছিলাম ও বার বার সেই বেঞ্চির পাশ দিয়ে যাতায়াত করছিল। এবং মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকিয়ে দেখছিল।
দিন কয়েক পরে হঠাৎ এক দিন আমি ওকে কাছে ডাকলাম। ডেকে পাশে বসালাম। ও একটুও দ্বিরুক্তি করল না আমার পাশে বসতে। আমি আস্তে আস্তে ওর সব পরিচয় জানলাম। ও-ও সরল ভাবেই আমার প্রশ্নের উত্তর দিল। আমি লক্ষ করলাম, যত দিন যাচ্ছে ওর প্রতি আমার আকর্ষণ ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে।
ও এক দিন না এলে আমি অস্থির হয়ে উঠতাম।
এই ভাবে দেখতে দেখতে দশটা বছর গড়িয়ে গেল। আমার বয়স এখন ছেষট্টি। আর পিউয়ের বয়স বাইশ। পিউ এখন এক জন পরিপূর্ণ যুবতী। আমরা দু’জনে বেঞ্চিতে পাশাপাশি বসে থাকতাম। পিউয়ের হাত থাকত আমার কোলের ওপর।
এ ভাবেই বেশ চলছিল দিনগুলো। মানুষজন প্রেমে পড়লে যেমন লাগে, হঠাৎ করে কিছু দিন ধরে পিউকেও সে রকমই লাগছিল। আমাকে চিন্তিত দেখে শেষে পিউ নিজেই এক দিন বলল, ‘একটি ছেলের সঙ্গে আমার ভাব হয়েছে।’ মুহূর্তে আমার মনে হল আমার বুকের মধ্যে কেউ একটা ভারী পাথর চাপা দিয়েছে। আমি অতি কষ্টে জিজ্ঞেস করলাম, ছেলেটি কী করে? ‘ইঞ্জিনিয়ার।’ বলেই পিউ আমার পায়ে হাত দিয়ে আমাকে প্রণাম করতে করতে বলল, ‘আমার আর আসা হবে না এখানে।’ বলেই ও চলতে শুরু করল। আমার সারা মনে অসীম শূন্যতা। আমি ওর প্রায় অপস্রিয়মাণ দেহের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললাম, পিউ, মাঝে মাঝে আমার কথা স্মরণ কোরো।
বাক্যে দাঁড়ির ব্যবহার: সুশান্ত ঘোষ ঘরে ফিরিলেন।
কঙ্কালেরা ফিরিবে না।

অরুণোদয় সেনগুপ্ত, যোধপুর পার্ক
ক্ষমা করিনি
দিদির বিয়ের সম্বন্ধ এসেছে। বরপক্ষের তরফ থেকে আমাদের বাড়িতে দিদিকে দেখতে এসেছেন। ওঁরা অত্যন্ত সজ্জন, ভদ্র। শুধুমাত্র দেখতে সুন্দরী, এবং ঘরোয়া মেয়ে হলেই তাঁদের চলবে, কোনও দাবিদাওয়া নেই। এ পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল। গোল বাধল এক জায়গায়। কাউকে কিছু না জানিয়েই হঠাৎ করে আমার ছোট বোন সেজেগুজে বরপক্ষের সামনে উপস্থিত হাজির হল। বোন তখন বি এ-র প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বোনকে দেখতে সুন্দরী বলে প্রথম বারেই দিদির প্রস্তাবিত বরপক্ষের ভীষণ পছন্দ হয়ে যায়। তাঁরা আর কিছুতেই দিদিকে পছন্দ করলেন না। আমার দিদি দেখতে তেমন ভাল নয়। বোন সেই বিয়েতে এখন সন্তানসন্ততি সহ সুখে ঘরসংসার করছে। আর দিদি সেই দুঃখ, এবং অপমানে জীবনে বিয়েই করল না। বোনের এই অপরিণত মনের দূরদর্শিতার অভাবে দিদির জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল। তাই বোনকে এখনও ক্ষমা করতে পারিনি।
অর্ণব রায়
উত্তর ২৪ পরগনা

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।

২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
 



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.