|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
পিঁপড়ের একতা |
আমি খাটের ওপর পড়তে বসি। মাঝে মাঝে যখন খাটের ওপরেই মুড়ি খাই, তখন তার কিছু কিছু কণা পড়ে থাকে। আবার কোনও কোনও সময় যখন মশা মারি, তখন ওই মশাও ওইখানে পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর দেখি দু’তিনটে পিঁপড়ে ওই মুড়ির কণা এবং মৃত মশাগুলির কাছে ঘোরাঘুরি করছে। কিন্তু পরে তারা আবার তাদের নিজের বাসায় ফিরে যায়। আবার তারও কিছুক্ষণ পরে দেখি সেই গর্ত থেকে অসংখ্য পিঁপড়ে বেরিয়ে এসে খাবারের কণা ও মৃত মশাগুলো তাদের গর্তের দিকে টেনে নিয়ে যায়। আমি যখন কাঠি দিয়ে একটা পিঁপড়েকে লাইনচ্যুত করি, তখন দেখি আবার ওই পিঁপড়েটি খুঁজে খুঁজে তাদের লাইনে চলে যায়। এর থেকেই বুঝতে পারি যে, এরা ক্ষুদ্র জীব হলেও এদের মধ্যে একতা আছে, যা এই উন্নত বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন জীব, মানুষের মধ্যেও তা নেই।
সৌপর্ণ ভৌমিক। ষষ্ঠ শ্রেণি, কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হাইস্কুল |
|
|
চিলের পরিবার |
আমাদের জানলার বাইরে একটা বড় পেয়ারা গাছ আছে। এক দিন হঠাৎ গাছে পেয়ারা হয়েছে কি না দেখার জন্য যেই বাইরে তাকিয়েছি, অমনি দেখি পেয়ারা গাছে একটা চিল বসে আছে। তার পর থেকে দেখি রোজ চিলটা দুপুর ১২টা বাজলেই পেয়ারা গাছে চলে আসে আর ২টো বাজলেই কিছু দূরে নারকেল গাছের উপর গিয়ে বসে। ওখানে দেখি আরও দুটো চিল তার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। কিছু দিন পর বুঝলাম যে পেয়ারা গাছে বসত সে হল বাবা-চিল, খাবারের আশায় বসে থাকত। আর যে দু’জন নারকেল গাছে খাবার নিয়ে বসে থাকত তারা হল এক জন মা-চিল আর এক জন বাচ্চা চিল। চিলের কী সময়জ্ঞান! আমি এখনও মাঝে মাঝে পড়ার ফাঁকে এই চিলের সুন্দর পরিবারকে দেখি। তাদের দেখে আমার খুব ভাল লাগে আবার মজাও পাই।
অহনা হোম চৌধুরী। ষষ্ঠ শ্রেণি, সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুল |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|