আয়ার গাফিলতিতে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে শুক্রবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়াল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। দু’দিন বয়সী এক শিশুকে কম্বল চাপা দেওয়ার সময়ে এক আয়া ‘ভুল করে’ তার মুখও চাপা দেন বলে অভিযোগ। ফলে শ্বাসরোধ হয়ে শিশুটি মারা যায় বলে পরিজনেরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। হাসপাতালের তরফে তিন জনের কমিটি গঠন করে রাতের মধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে দেওয়া হয়। যদিও ময়না-তদন্ত না করিয়েই বিকেলে দেহটি নিয়ে যান পরিজনেরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা ঝুমা দণ্ডপাট গত মঙ্গলবার ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার জন্য বিদ্যাসাগর হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় তাঁকে। ওই রাতেই তাঁর একটি পুত্র সন্তান হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জন্ম থেকেই শিশুটি গুরুতর অসুস্থ ছিল। প্রথম কান্নাও দেরিতে হয় বলে জানান চিকিৎসকেরা।
পরিজনদের অভিযোগ, শিশুটির চিকিৎসাই হয়নি। তাকে ঠিক মতো খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করেননি নার্সরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রসবে দেরি হওয়ায় জন্ম থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল শিশুটি। তার ডেথ সার্টিফিকেটেও মৃত্যুর কারণ ‘রেসপিরেটরি ফেলিওর’ লেখা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিখা অধিকারী বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। জন্ম থেকেই শিশুটির সমস্যা ছিল। তা পরিজনদের জানানোও হয়। আয়ার গাফিলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, হাসপাতাল থেকে শিশুটির চিকিৎসার সব কাগজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আজ, শনিবার হাসপাতালে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এ দিকে, এ দিনই বাঙুর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস। আগে ওই সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
|
হাসপাতালে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নওদা |
হাসপাতালে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার নওদার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়েরা। রোগীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের যে খাবার দেওয়া হয় তা পচা ছিল। সেই খাবার খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন কয়েক জন। নওদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বুধাদিত্য বক্সী বলেন, “খাবারে সমস্যা ছিল। তবে রোগীদের অসুস্থতা সামান্যই। রান্নার কর্মীকে বলা হয়েছে যেন ফের এ রকম না হয়।” |