তাঁরা চান পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের সমমর্যাদা। রাজ্য সরকার যদি সেই মর্যাদা না-দেয়, তা হলে তাঁরা জোরদার আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিলেন রাজ্য পার্শ্বশিক্ষক সমন্বয় সমিতির সদস্যেরা। শুক্রবার রানি রাসমণি রোডে সভা করে সমিতি। ওই সমাবেশে প্যারাটিচার জীবিকা উন্নয়ন কমিটির সদস্যেরাও যোগ দিয়েছিলেন। পার্শ্বশিক্ষকেরা ২০০৪ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। সমিতির দাবি, ২০০৫ সালের জাতীয় পাঠ্যক্রমের রূপরেখা এবং ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন মেনে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর ছাড় দিয়ে দূরশিক্ষা বা ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে পার্শ্বশিক্ষকদের শিক্ষাগত মান পূর্ণ করার সুযোগ দিতে হবে। তা হলে পার্শ্বশিক্ষকদের পদোন্নতি ঘটিয়ে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করতে সমস্যা হবে না বলে মনে করেন সমিতির সম্পাদক শামিম আখতার। সমাবেশ থেকে এক দল প্রতিনিধি মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে এবং বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে স্মারকলিপি দেন বলে জানান প্যারাটিচার জীবিকা উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ ভৌমিক।
|
বাম সংগঠনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ বন্ধ করতে সক্রিয় হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে শুক্রবার সিটু প্রভাবিত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর,স্বাস্থ্য ও পুরকর্মী ইউনিয়নের সমাবেশে এক নেত্রী রাজ্যে শিশুমৃত্যুর প্রসঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজে মা নন বলে মায়েদের ‘যন্ত্রণা’ বুঝতে পারছেন না। ওই বক্তব্য অনুমোদন করেননি শ্যামলবাবু। পরে তিনি ওই মঞ্চ থেকেই বলেন, তাঁরা কারও নীতি বা সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু ব্যক্তিগত স্তরে নেমে এমন মন্তব্য কখনওই উচিত নয়। তৃণমূল নেত্রী মমতার বিরুদ্ধে সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীদের ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ ঘিরে এর আগে দলের ভিতরে-বাইরে বহু বিতর্ক হয়েছে। সেই দিক থেকে শ্যামলবাবুর এ দিনের উদ্যোগ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। |