|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা
এত্তা জঞ্জাল |
উড়ালের আড়ালে |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় |
রেলিংয়ে শুকোয় শাড়ি। দেয়ালে শুকোয় ঘুঁটে। পাড়ার পার্ক নয়, এ ছবি ভিআইপি-বাইপাস উড়ালপুলের নীচের অংশের। শুকনো হচ্ছে গুলও। রাখা আছে রিকশা এবং বিকল গাড়িও। অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই এখানে জুয়োর আড্ডাও বসে। |
|
বছর দেড়েক আগে চালু হয়েছিল এই উড়ালপুল। অভিযোগ, উড়ালপুলের নীচের অনেকটা এর মধ্যেই জবরদখলকারীদের দখলে চলে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কার্যত উদাসীন। এর আগে উড়ালপুলের উপরে কয়েকটি আলো চুরি হয়ে গিয়েছিল। সেই আলো আজও লাগানো হয়নি। অভিযোগ, উড়ালপুল নির্মাণকারী সংস্থা কেএমডিএ বিষয়টি পুলিশকে জানানো ছাড়া আর কিছুই করেনি। উড়ালপুলের নীচের অংশের অবস্থাও খারাপ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উল্টোডাঙা-বাইপাস উড়ালপুলের নীচে দু’দিকে রয়েছে বস্তি। অভিযোগ, উড়ালপুলের এই অংশই সবচেয়ে বেশি নোংরা। দেয়ালে গুল কিংবা ঘুঁটে দেওয়া হয়। বস্তির থেকে আবর্জনাও ফেলা হয়। ছোটোরা তো বটেই সুযোগ পেলে বড়রাও প্রাকৃতিক কাজ সারছেন উড়ালপুলের নীচেই। পাঁচ নম্বর সেক্টরে নবদিগন্ত উড়ালপুলের নীচে এক সময়ে একই ভাবে নোংরা করা হত। পরে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্যায়ন করেন। |
|
এই পথেই নিত্য অটোয় যাতায়াত করেন শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “বিধাননগরের প্রবেশ পথে এই অবস্থা দৃষ্টিকটু। তা ছাড়া রাতে এই অংশটুকু যেতে গা ছমছম করে।” অভিযোগ, উড়ালপুলের নীচে সরকারি জায়গা দখল করেই গ্যারাজের ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। বেশ কিছু বিকল গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। সেই গ্যারাজের এক কর্মচারী জানান, অনেক দিন ধরেই তাঁরা এখানে রয়েছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে কেউ তাদের বারণ করেনি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেএমডিএ-র চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার বিবেক ভরদ্বাজ বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। ওখানে নবদিগন্ত উড়ালপুলের মতোই সৌন্দর্যায়ন করা হবে।” |
|
|
|
|
|