লোকালয়ে ঢুকে বিট অফিসার-সহ ৬ জনকে জখম করে দুপুর পর্যন্ত তাণ্ডব চালাল তিনটি বাইসন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার জংশন সংলগ্ন নর্থ পয়েন্ট ও বাইরাগুড়ি এলাকার মাঝে। রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গল থেকে ওই তিনটি বাইসন এদিন ভোরে বার হয়ে আসে। লোকজন দেখতে পেয়ে ভিড় করলে ঘাবড়ে গিয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। শেষপর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাইসন তিনটিকে কাবু করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়। জখমদের মধ্যে ২ জনকে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্র পাল সাইনি বলেন, “পথ ভুলে বাইসন তিনটি লোকালয়ে চলে আসে বলে মনে হচ্ছে। ৬ জনকে জখম করা ছাড়াও কয়েকটি বাড়ি এবং একটি মোটর বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করার পরে সেগুলিকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” |
মুরগির পরে এ বার পায়রার মড়ক শুরু হয়েছে মেঘালয়ে। শিলংয়ের কিটিং রোড এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই মরা পায়রার দেহ মিলছে। শতাধিক পায়রার মৃত্যুর পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে রাজ্য প্রাণীসম্পদ বিভাগ মৃত পায়রার নমুনা সংগ্রহ করে গুয়াহাটি পাঠিয়েছে।জানুয়ারি মাসেই গারো পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বার্ড ফ্লু। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হাজার দশেক মুরগি নিধন করা হয়। এইবার খাসি পাহাড়ের পূর্ব খাসি হিলে ফ্লু মড়ক ছড়াতে দিতে চায় না জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক সঞ্জয় গোয়েল বলেন, “গত কালই মৃত পায়রাগুলিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। অসমের রিজিওনাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি’তে নমুনাও পাঠানো হয়েছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও ‘কুইক রেসপন্স টিম’ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি।” প্রাণীসম্পদ ও পশুপালন বিভাগের প্রধান সচিব পি নায়েক পায়রা প্রতিপালকদের খালি হাতে মরা পায়রা না ধরা ও মৃত পায়রা না খাওয়ার অনুরোধ জানান।
|
সদ্য লাগানো পথবাতির স্তম্ভে তড়িদাহত হয়ে গরুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ বিধান মার্কেট ফুলবাজারের কাছে ওই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে। শুক্রবার ব্যবসায়ীদের একাংশ বাতিস্তম্ভ বসানোর কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, গরুটি রাতে বাতিস্তম্ভে স্পর্শ করা মাত্র তড়িদাহত হয়ে মারা গিয়েছে। সেটিকে বাঁচাতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনও তড়িদাহত হওয়ার ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এ দিন সকালে পুরসভার সাফাই বিভাগের লোকজন মৃত গরুটিকে সরাতে গেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত গেলে তার কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। দুলালবাবু বলেন, “বাতিস্তম্ভে সংযোগের কাজ ঠিক মতো না-হওয়ায় সমস্যা হয়েছে।”
|