পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল চত্বরে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালুর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। চলতি বছরেই ট্রেনিং স্কুল চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উপ-অধিকর্তা (নার্সিং) রীনা রায় ও অতিরিক্ত অধিকর্তা (নার্সিং) রত্না ধর স্কুল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দেখতে হাসপাতালে আসেন। জেলা হাসপাতালের নার্সদের আবাসন এবং হাসপাতালের ভিতরে কিছু ভবন নিয়ে চলতি বছরেই নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালুর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা ঘুরে দেখেন তাঁরা। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নার্স আবাসনের বেশিরভাগ অংশ অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। তাই সেটিকে নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের ছাত্রীদের আবাসন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আর জেলা হাসপাতালের মূল ভবনের একটি অংশ ক্লাসরুম ও পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে। |
পাশাপাশি জেলা হাসপাতালের সামনে রাখাল মেমোরিয়াল ময়দান লাগোয়া যে জায়গা আছে সেখানে স্কুলের নতুন ভবন গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাতত জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালু করা হবে। এ দিন পরিদর্শনের পর স্বাস্থ্য দফতরের উপ-অধিকর্তা (নার্সিং) রীনা রায় বলেন, “নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালুর পরিকাঠামো দেখেছি। এখন অস্থায়ী ভাবে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালানো যেতে পারে। এ বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে রিপোর্ট দেব। ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল যদি অনুমতি দেয় তবে চলতি বছরেই স্কুল চালু হতে পারে।” জেলা হাসপাতালের সুপার নিমাই মণ্ডল বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে চলতি বছরেই নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালুর বিষয়ে বুধবারই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছাড়পত্র দিয়েছে। চলতি বছরেই ৩০টি আসনবিশিষ্ট নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করে এই নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালু করা হবে। আগামী অগস্ট থেকে তিন বছরের নার্সিং কোর্সের (জিএনএম) প্রশিক্ষণ শুরু হবে।” উল্লেখ্য, এই প্রশিক্ষণ স্কুল চালু হলে এটি হবে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রথম সরকারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল। |