|
|
|
|
পাট্টা, দীর্ঘমেয়াদী লিজের দাবি ব্যবসায়ীদের |
বাজার পুনর্নির্মাণে বাধা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বাধার মুখে পড়ল বিধান মার্কেট পুনর্নির্মাণের কাজ। ব্যবসায়ীরা রাজি থাকলে সেখানে অত্যাধুনিক শপিং হাব গড়ার কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। গত ডিসেম্বরে দিল্লি থেকে স্থপতিকে এনে ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। তাঁদের পরিকল্পনার কথা প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের একাংশ বৃহস্পতিবার এর বিরোধিতা করে দোকানের জমির পাট্টা বা দীর্ঘমেয়াদী লিজের দাবিতে সরব হন। তাঁদের পক্ষে থাকার জন্য ব্যবসায়ীদের সই সংগ্রহ শুরু হয়েছে। শনিবার বাজারে সভাও ডাকা হয়েছে। অত্যাধুনিক যে মার্কেট তৈরির কথা বলা হচ্ছে তাতে কারবার বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে এ দিন সন্ধ্যায় লিফলেট বিলি করে বাজারে প্রচারে নামেন ব্যবসায়ীরা। এমনকী বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির একাংশ ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে, মত না নিয়েই পুরনো বাজার ভেঙে অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স গড়তে সম্মতি দিয়েছে অভিযোগ তুলে ওই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের দাবিও জানান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ব্যবসায়ীদের যাতে ভাল হয়, সে জন্যই অত্যাধুনিক শপিং হাব গড়ার কথা ভাবা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও সহযোগিতা চাই।” বিধান মার্কেট আধুনিকরণ ও তার বিরোধিতায় দুই পক্ষে ভাগ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক খোকন গুপ্ত বলেন, “ব্যবসায়ীদের নিয়ে সাধারণ সভা করা হয়েছিল। মন্ত্রী, মেয়র, কাউন্সিলরকে নিয়ে সভা ডেকে জানানো হয়েছে। প্রকল্পে কারা রাজি, কারা রাজি নন সকলের মত চাইতে গোপন ব্যালটে ভোট চাওয়া হচ্ছে। জোর করে কিছু করার ব্যাপার নেই। সকলে চাইলে এখানে অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স গড়া হবে।” খোকনবাবু, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাদল গুহরা জানান, বিগত দুই দশক ধরে অশোক ভট্টাচার্য পুরমন্ত্রী তথা এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান থাকার সময় তারা দোকানের জায়গা পাট্টা বা লিজ চেয়েছিলেন। তা না পেয়ে পাকা স্টল তৈরির দাবিতে নামেন। কিন্তু সব ব্যবসায়ীকে নিচতলায় জায়গা দেওয়া ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এ বার তা পরিকল্পনা হয়েছে অন্তত ৬০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। দোতলায়, তিন তলায় ওঠার জন্য চলমান সিঁড়ি। দোতলায় যাঁরা দোকান নেবেন তাদের ছাড় দেওয়ার মতো বিভিন্ন সুবিধা মিলবে। পুরনো ঘিঞ্জি বাজার হওয়ায় আগুন লাগার ঘটনার বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। নতুন বাজার গড়ে উঠলে সেই ভয় থাকবে না। প্রণব দাস, বাবু ঘোষ, তমাল সরকার, চিত্তরঞ্জন দাসের মতো ব্যবসায়ীদের একাংশের তাতে মত নেই। তাঁরা জানান, এই বাজার ভেঙে অত্যাধুনিক করার নামে চক্রান্ত চলছে। নতুন ভাবে বাজার নির্মাণ কবে শেষ হবে, কোথায় কে দোকান পাবেন তা কেউ জানেন না। কাজ শেষ হলেও মাঝে কয়েক বছর কারবার বন্ধ রাখতে হবে। তাতে ব্যবসা নষ্ট হওয়ার অশঙ্কা রয়েছে। |
|
|
|
|
|