|
|
|
|
ফুল-মেলায় দলতন্ত্রের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
বিতর্কের মধ্যে শুরু হল জলপাইগুড়ি ফুল মেলা। উঠেছে ‘দলতন্ত্রের’ অভিযোগ। বৃহস্পতিবার শহরের তিস্তা উদ্যানে ২৩ তম পুষ্প প্রদর্শনী শুরু হয়। ফুল মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। রাজ্যের বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়, জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনদিনের এই ফুল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে অতিথিদের তালিকায় মন্ত্রী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, জেলাশাসক, বন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে জলপাইগুড়ি শহরের একমাত্র তৃণমূল কাউন্সিলরের নামও ছাপা হয়েছে। শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাপিয়া পালই একমাত্র তৃণমূল কাউন্সিলর। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে কোন পদ্ধতিতে বাছাই করে তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘সন্মানীয় অতিথি’র তালিকায় রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অন্যান্য কাউন্সিলররা। কেননা, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নাম ছাপা হলেও যে এলাকায় ফুল মেলা হচ্ছে তিস্তা উদ্যানের সেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসী কাউন্সিলরকে পৃথক ভাবে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সরকারি অনুষ্ঠানে ‘বৈষ্যমমূলক আচরণের’ অভিযোগ তুলেছে শরিক কংগ্রেস। তৃণমূল হওয়ার সুবাদেই সরকারি অনুষ্ঠানের ‘প্রোটোকল’ ভেঙে দলের কাউন্সিলরের নাম ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী সিপিএমও। এদিনের অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়ি পুরসভার কংগ্রেসী চেয়ারম্যান মোহন বসুর অনুপস্থিতি বির্তককে আরও উসকে দিয়েছে। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে মোহনবাবুর নাম থাকলেও তিনি অনুষ্ঠানে যাননি। তবে জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। |
|
ছবি: সন্দীপ পাল। |
উদ্বোধনের পরে বনমন্ত্রী বলেন, “পুর চেয়ারম্যান হয়তো কোনও কাজে আটকে গিয়ে থাকবেন। তবে ভারসাম্য রক্ষার জন্যই তৃণমুল কাউন্সিলরের নাম রাখা হয়েছিল। আর আমাকে যদি আগে স্মরণ করিয়ে দিতেন তাহলে পুষ্প প্রদর্শনী যে এলাকায় হচ্ছে সেখানকার কাউন্সিলরের নামও রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিতাম। এসব নিয়ে বির্তকের কোনও কারণ নেই।” পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “আগে থেকেই অন্য একটি বৈঠক স্থির হয়েছিল। বৈঠকের সময়েই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পড়ে যাওয়ায় যেতে পারিনি। অন্য কোনও কারণ নেই। তবে এলাকার কাউন্সিলরের নাম কার্ডে রাখলে ভাল হত।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর প্রমোদ মন্ডল বলেন, “যাঁরা বড়বড় কথা বলতেন, তাঁরাই ক্ষমতায় এসে দলতন্ত্র কায়েম করেছেন। পুরসভায় চেয়ারম্যানের নামে একটি মাত্র আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। সেটি দেখিয়ে সব কাউন্সিলরকে সই করানো হয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূল বাদে অন্য কাউন্সিলরদের নাম আমন্ত্রণপত্রে থাকা তো দূরের কথা সেটি হাতে পাওয়ার যোগ্যতা নেই, এই বার্তাই আমাদের দেওয়া হয়েছে।” তিস্তা উদ্যানে ফুল মেলা উদ্বোধনের আগে জলপাইগুড়িতে বন্যপ্রাণ বিভাগের বনপালের দফতরের শিলান্যাস করেন বনমন্ত্রী। এদিন সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির সমাজপাড়া মোড়ে একটি জনসভাও করেন তিনি। তৃণমূলের আয়োজিত জনসভায় বনমন্ত্রী বলেন, “৩৪ বছরের পরে একটি দল ক্ষমতায় এসেছে। মাত্র ৭ মাস যেতে না যেতেই সমালোচকরা নিন্দা করতে শুরু করে দিয়েছেন। তবে মানুষ আমাদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য ক্রমশ এগিয়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|