কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের কাজ প্রকল্প নিয়ে জাতীয় সম্মেলনে অনুপস্থিত রইলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফলে ভেস্তে গেল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও। রাজ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে দুই শরিকের তিক্ততার কারণেই এই সফর বাতিল হল কি না, আজ সেই প্রশ্নই ফের উস্কে দিল পঞ্চায়েতমন্ত্রীর অনপুস্থিতি। যদিও সুব্রতবাবুর দাবি, এর পিছনে কোনও তিক্ততা বা রাজনীতি নেই। ব্যক্তিগত কারণে তিনি দিল্লি আসতে পারেননি। সুব্রতবাবু না থাকলেও তৃণমূল সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই গত দু’দিন ধরে সুন্দরবন সফরে ছিলেন সুব্রতবাবু। গত কাল রাতে ফেরার পর আজ সকালে তাঁর দিল্লি আসার কথা ছিল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে তিনি তাঁর যাত্রা বাতিল করেন। না আসার পিছনে সুব্রতবাবুর ব্যাখ্যা, “১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি আর্সেনিক সমস্যার উপর কলকাতায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে। সেখানে জয়রাম রমেশের আসার কথা। সেখানে জয়রামের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে বলে আজ আর গেলাম না।”
আজকের বৈঠকে রাজ্যের তিন জেলার জল প্রকল্প-সহ গ্রামাঞ্চলের পরিকাঠামোগত বেশ কিছু প্রকল্পের অনুমোদন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তৃণমূল-কংগ্রেস যতই বিবাদ থাকুক না কেন রাজ্যের স্বার্থে ওই প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করছেন জয়রাম। পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে তিনি যে সক্রিয়, এই বার্তাও তিনি একাধিক বার দিয়েছেন মমতাকে। আজ সুব্রতবাবুও সে কথা মেনে নিয়ে বলেন, “বৈঠকে গেলে ভাল হত। তবে জয়রাম প্রথম থেকেই রাজ্যকে সাহায্য করছেন। রাজ্য যাতে কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিকল্পনার সুবিধা পায়, সেই লক্ষ্যে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সক্রিয় রয়েছেন জয়রাম।” তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসন্ন কলকাতা সফরে সমস্ত বকেয়া বিষয়ে আলোচনা সেরে ফেলা হবে। |