রাজ্যপালের কাছে বাম মহিলা সমিতি |
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে শিশু-মৃত্যু বন্ধে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ ও তদন্ত চাইল সিপিএমের মহিলা সমিতি। তাদের বক্তব্য, বাম আমলে যে পরিকাঠামো ছিল, এখনও মোটামুটি তাই আছে। তা হলে শিশু মৃত্যুর হার বাড়ল কেন? এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় সভার পর রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। সংগঠনের নেত্রী তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামলী গুপ্ত বলেন, “কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, মালদহ জেলা হাসপাতাল-সহ অনেক জায়গাতেই শিশু-মৃত্যু হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, মূলত সেপটিসেমিয়া, নিউমোনিয়া এবং কম ওজনের জন্যই শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে। পরিকাঠামো সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছে নাকি এর পিছনে অন্য কারণ আছে, তা নিয়ে তদন্ত করতে হবে।” সমিতির নেত্রী মিনতি ঘোষ বলেন, “বামফ্রন্টের আমলে বিসি রায় হাসপাতালে শিশু-মৃত্যুর পর তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে হাসপাতালে ভাঙচুর, পথ-অবরোধ হয়েছিল। কিন্তু আমরা ও পথে যাব না। আমরা চাই সরকারি হাসপাতালে শিশু-মৃত্যু বন্ধ হোক।”
|
৯ পুরসভা ও ৩ ব্লকে উর্দু দ্বিতীয় ভাষা |
কলকাতা তো বটেই। সেই সঙ্গে রাজ্যের আরও কয়েকটি পুরসভা ও ব্লকে ১০ শতাংশেরও বেশি উর্দুভাষী মানুষের বসবাস। এই ধরনের পুরসভা, ব্লক ও জেলায় উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীন তথ্য-সংস্কৃতি দফতর। ২০০১-এর জনগণনার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ওই মর্যাদা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে কলকাতা পুরসভা ছাড়া ১০ শতাংশের বেশি উর্দুভাষী মানুষ বাস করার সুবাদে রাজ্যের আরও আটটি পুরসভা এলাকায় উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই পুরসভাগুলি হল উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়, কামারহাটি, ভাটপাড়া, গারুলিয়া এবং হুগলির চাঁপদানি, রিষড়া, বাঁশবেড়িয়া ও ভদ্রেশ্বর। একই মাপকাঠিতে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ১ এবং ২ আর ইসলামপুর ব্লকেও উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়ার কথা।
|
সুরক্ষা প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ সিটুর |
নির্মাণ কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে রাজ্য সরকারের কাছে ৩০০ কোটি টাকা পড়ে থাকলেও তা শ্রমিকদের কাজে লাগছে না বলে অভিযোগ করল সিটু। শুক্রবার ধর্মতলায় নির্মাণ কর্মীদের এক সভায় সংগঠনের নেতা দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন তিন লক্ষ শ্রমিক। সরকারি কোষাগারে ৩০০ কোটি টাকা পড়েও আছে। কিন্তু শ্রমিকরা তার সুবিধা পাচ্ছেন না। বিডিও-রা নতুন কোনও নির্মাণ কর্মীর নামও নথিভুক্ত করছেন না।” তাঁদের আরও অভিযোগ, নির্মাণ কর্মীদের জন্য বাম আমলে আইন তৈরি হলেও তা কার্যকর করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে জিজ্ঞাসা করা হলে টাকা পড়ে থাকার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে নেন।
|
সরকারি কাজে ই-গভর্ন্যান্স ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এবং সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প চলতি আর্থিক বছরে শেষ না করলে সব পুরসভা ও উন্নয়ন পর্ষদ এলাকাকে সরকারি অনুদান দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার নগরোন্নয়ন দফতরে ই-ফাইল ও লেটার ট্র্যাকিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সূচনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন সরকারি বিভাগে ই-গভর্ন্যান্স চালু হয়েছে। কিন্তু তা সর্বত্র চালু হয়নি। সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের কাজ বহু ক্ষেত্রে হয়নি। উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পুরসভাগুলি তা ৩১ মার্চের মধ্যে কার্যকর না করলে সরকারি অনুদান বন্ধ হবে।” বিধাননগরে নগরায়ণ ভবনে এই ব্যবস্থা চালু করে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্বচ্ছতা, সততা ও দ্রুত কাজ শেষ করতে এই ব্যবস্থা। এতে কোনও কাজে সমস্যা হলে তার উৎস দ্রুত খোঁজা সম্ভব হবে।” |