রাজ্য পরিবহণ সংস্থার আয় বাড়াতে প্রাথমিক দাওয়াই বাতলে দিল সরকার। বৃহস্পতিবার পরিবহণ সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে ঠিক হয়েছে, বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে বাস স্টপেজে টহলদার পরীক্ষক রাখা হবে। পরিবহণ দফতরের বিভিন্ন শাখার কর্মীদের নিয়েই তৈরি হবে টহলদার দল। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের আশা, এর থেকে আয় বাড়বে।
লোকসানে চলা পাঁচটি পরিবহণ সংস্থা কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার পথ বার করতে এ দিন সংস্থাগুলির ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের বৈঠকে ডেকেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। বৈঠকের তিনি বলেন, “এ-সব ক্ষেত্রে ৫-১০ মিনিট স্টপেজে বাস আটকানোর প্রয়োজন হতে পারে। যাত্রীরা অনুগ্রহ করে সহযোগিতা করবেন। যদি দেখা যায়, কম টাকার বিনিময়ে যাত্রীরা বাসে চড়েছেন, দোষী কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাজ্যের মোট যাত্রীর মাত্র ১৪ শতাংশ বহন করে পাঁচটি সরকারি নিগম। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “এর জন্য রাজ্যের বাজেট বছরে প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। আর ভর্তুকি দিতে হয় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতি চলতে পারে না।” পরিবহণ নিগমগুলিকে চাঙ্গা করার ব্যাপারে সবিস্তার ও নির্দিষ্ট তথ্য না-পেলে সেগুলির কর্মীদের বেতন না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। গত ২৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আপাতত আগামী ছ’মাসের জন্য বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা এসবিএসটিসি-র বেতনের টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। বাকি চারটি পরিবহণ নিগমের কর্মীদের বেতনের টাকা শীঘ্রই দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী এ দিন জানান।
বিভিন্ন নিগম এবং কর্মীদের উপরে চাপ রাখতে এ বার পরিবহণমন্ত্রী নিজেই ডিপোয় যাবেন। সাত দিন বাদে ফের নিগমগুলির শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। ঠিকাকর্মীর পাওনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ওঁদের পাওনা মেটানোর কোনও দায় সরকারের নেই। প্রয়োজনে যাঁরা ওঁদের কাজ দিয়েছেন, তাঁদের কাছে জবাবদিহি চান।” পাওনা না-পেয়ে বুধবার উত্তরবঙ্গে পরিবহণকর্মীদের একাংশ যে-ভাবে পথ-অবরোধ করেছেন, তার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, “অবরোধ হটাতে যাত্রীরাও কিন্তু রাস্তায় নামতে পারেন।” |