ফের ডাকাতি, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ
রজা ভেঙে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ায় জয়পুরের বৈতাল গ্রামে। এক মাস আগে ওই গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে জারকা গ্রামে পর পর তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মাঝরাতে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক অনুপ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুঠপাট চালায় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে তারা। তার আগে ডাকাতরা প্রতিবেশীদের বাড়ির বাইরে না বেড়ানোর হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতিতেই বার বার এমন ঘটনা ঘটছে।
পড়ে রয়েছে ভাঙা দরজা। ছবি: শুভ্র মিত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রায় ১৫ জনের ডাকাত দলের ৫ জন ওই শিক্ষকের বাড়ির ভেতর ঢুকেছিল। তার আগে গ্রামেরই একটি গরুর গাড়ি থেকে চাকা খুলে, সেই চাকা দিয়ে অনুপবাবুর বাড়ির কাঠের দরজা ভাঙে তারা। দরজা ভাঙার আওয়াজে প্রতিবেশীদের কয়েক জন জেগে উঠলে ডাকাতরা তাঁদের নাম ধরে ধরে ‘হুমকিও’ দেয়। গ্রামবাসী রঘুনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “ওদের ভয়ে আমরা কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে সাহস পাইনি।” বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনুপবাবু, তাঁর স্ত্রী শিউলিদেবী এবং কন্যা অন্তরা। অনুপবাবু বলেন, “ওদের মুখ কালো মাফলারে ঢাকা ছিল। একজন আমার মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে বলল, ‘তোর কাছে ৫ লক্ষ টাকা আছে। এখনই বের করে দে।’ আমি বললাম, আপনারা ভুল লোককে ধরেছেন। আমার কাছে তো অত টাকা নেই।” এর পরে ডাকাতরা নিজেরাই ঘরের ভেতরে বাক্স প্যাঁটরা ভেঙে নগদ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
শিউলিদেবী বলেন, “ঘরে দশ টাকাও রেখে যায়নি। সব নিয়ে চলে গেছে। আমার দুই মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা সব গয়নাও নিয়ে চলে গেল। কী করব বুঝতে পারছি না।” গ্রামবাসীদের দাবি, “এলাকায় যে ভাবে ডাকাতির সংখ্যা বাড়ছে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশি টহল বাড়ানো হোক।” এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা ওই ডাকাত দলটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.