দুর্নীতির অভিযোগে ৬ সদস্যদের আনা অনাস্থায় ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন মথুরাপুরের শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘নির্দল’ প্রধান রহমতুল্লা গাজি। বৃহস্পতিবার ওই ভোটাভুটি হয়। ওই পঞ্চায়েতে মোট আসন ১১টি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং এসইউসি জোট করে ‘নির্দল’ হিসাবে ৮টি আসনে জেতে। সিপিএম পায় ৩টি আসন। জোটের পক্ষে প্রধান হন রহমতুল্লা গাজি। দিন পনেরো আগে তিন ‘নির্দল’ সদস্য এবং সিপিএমের ৩ জন মিলিত ভাবে ওই অভিযোগ তুলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। এ দিন একটি ভোটও পাননি প্রধান।পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, রহমতুল্লা ‘নির্দল’ হয়ে জিতলেও তিনি তৃণমূল সমর্থক।সিপিএমের ৩ জন ছাড়া যে তিন সদস্য অনাস্থায় সামিল হন, তাঁরাও তৃণমূল সমর্থক হিসাবে পরিচিত। মথুরাপুর-১ ব্লকের বিডিও দীপ্তার্ক বসু বলেন, “ভোটাভুটিতে হেরে গিয়েছেন প্রধান। নতুন প্রধান কে হবেন, তা পরে ঠিক করা হবে।” এ দিন অনাস্থার পক্ষে ভোট দেওয়া পঞ্চায়েতের ‘নির্দল’ সদস্য সইফুল মির বলেন, “প্রধান দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। গ্রামোন্নয়নের কাজে অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতেন না। তাই অনাস্থা আনা হয়।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রহমতুল্লা। তিনি বলেন, “দরপত্র না ডেকেই সইফুল তাঁর মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ করিয়ে নিতে চাইছিলেন। এর প্রতিবাদ করেছিলাম বলেই ওঁরা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।” সইফুল প্রধানের অভিযোগ মানেননি।
|
বার অ্যাসোসিয়েশনে জয়ী কংগ্রেস |
তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করে বৃহস্পতিবার বারাসাত বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জয়ী হল কংগ্রেস। আগের বারের নির্বাচনে মোট ১৩টি আসনের সব ক’টিই পেয়েছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। কিন্তু এ বার জোটের রাস্তায় না গিয়ে পৃথক ভাবে লড়াই করে ৯-৪ আসনে তৃণমূলকে হারাল কংগ্রেস। নির্বাচনে সিপিএম ও বিজেপি লড়লেও তারা কোনও আসন পায়নি। বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি তথা প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক অনন্ত রায় এ দিন বলেন, “গতবার তৃণমূল আমাদের সমমনোভাবাপন্ন ছিল। কিন্তু এ বছর ওদের চেহারা প্রায় সিপিএমের মতো হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা আলাদা ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।” জয়ের পর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদক হন যথাক্রমে জওহরলাল পাল এবং উমাপদ চট্টোপাধ্যায়।
|
সুন্দরবনে নতুন করে নদীবাঁধ তৈরির জন্য আরও ৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ক্যানিংয়ে ৩১ একর এবং গোসাবার কালীনগরে ৪০ একর। |