|
|
|
|
বাসে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার দাবিতে অবরোধে ছাত্রছাত্রীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়দিঘি |
তাঁদের থেকে অর্ধেক বাসভাড়া নিতে হবে, এই দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা রায়দিঘির ময়রারমহল বাসমোড়ের কাছে মথুরাপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন রায়দিঘি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। অবরোধের জেরে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন বহু মানুষ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়দিঘি-ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে এম-১০ রুটের বেসরকারি মিনিবাস চলে। ওই রুটে রায়দিঘি ও মথুরাপুর স্টেশনের মধ্যে অটো, ট্রেকার ও যাত্রীবাহী গাড়িও চলে। বাসের চেয়ে ওই সব যানবাহনে কম ভাড়া নেওয়া হয়। আগে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের থেকে অর্ধেক ভাড়া নেওয়া হত এম-১০ রুটের মিনিবাসে। কিন্তু যাত্রী কম হচ্ছে, এই কারণ দেখিয়ে দিন পনেরো আগে ওই রুটের বাস-মালিক কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের থেকে অর্ধেক ভাড়া নেওয়া ব্যবস্থা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণ ভাড়ায় তাঁদের যাতায়াত করতে হবে, এই বিজ্ঞপ্তিও বাসগুলিতে লটকে দেওয়া হয়।
এ দিন সকালে রায়দিঘি কলেজের কিছু ছাত্রছাত্রী ওই বাসে আসার সময়ে অর্ধেক ভাড়া দিতে গেলে কন্ডাক্টর তা নিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বাধে। খবর পেয়ে কলেজ থেকে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী এসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ওই মোড়ে অবরোধ শুরু করেন। তাঁরা অর্ধেক বাসভাড়া নেওয়ার দাবি তোলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে বাস-মালিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পরে জানায়, আজ, শুক্র ও কাল শনিবার, দু’দিন অর্ধেক ভাড়ায় ছাত্রছাত্রীরা বাসে যাতায়াত করতে পারবেন। এর পরেই অবরোধ ওঠে।
ওই রুটের বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক রহিচউদ্দিন মোল্লার দাবি, “রাস্তায় বেআইনি অটো, ট্রেকার, যাত্রীবাহী গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের লোকসানে বাস চালাতে হচ্ছে। বেআইনি যানবাহন বন্ধের জন্য বহুবার প্রশাসনের সমস্ত মহলে জানানো হলেও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়ে পূর্ণ ভাড়া চালুর জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।” ওই রুটের বাস-মালিক সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন তরফদার জানান, পুলিশের কথামতো তাঁরা দু’দিন অর্ধেক বাসভাড়া নেবেন।
সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি মহকুমাশাসক কলেজের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধি এবং বাস-মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মহকুমাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজের ছাত্রছাত্রী ও বাস-মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বেআইনি যানবাহন নিয়ে পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|