|
|
|
|
সীমান্তে ঢিলেঢালা বিএসএফ |
পচা চাল, ‘হেনস্থা’ প্রধান শিক্ষককে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
নিম্ন মানের চাল দিয়ে মিড-ডে মিল রান্না করা হচ্ছে। এই অভিযোগে স্কুলে চড়াও হয়ে প্রধান শিক্ষককে হেনস্থা করলেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের কানুপুর নবজাগরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘণ্টা তিনেকের এই বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে যায় পঠন-পাঠনও। বন্ধ করে দেওয়া হয় এ দিনের মিড-ডে মিলের রান্না। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
গ্রামের বাসিন্দা লতিফুল শেখ বলেন, “ছাতা পড়ে যাওয়া চাল দিয়েই স্কুলে খিচুড়ি রান্না হচ্ছে। স্কুলে পড়ুয়া প্রায় পাঁচশো। ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার খাতিরেই গ্রামবাসীরা স্কুলে হাজির হন। তালা ভেঙে বস্তাবোঝাই চাল বের করে মাটিতে ফেলে দেন। এই বিক্ষোভের জেরে স্কুলে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রীতিকুল দাস বলেন, “ডিলার খারাপ চাল দিলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। স্কুল কমিটির কেউ চাল আনতে সঙ্গে যান না। চাল দেওয়ার সময়ে প্রশাসনের প্রতিনিধি থাকে না বলেই স্কুলগুলো খারাপ চাল পাচ্ছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
তাঁর অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রীতিকুল দাসকে এ ব্যাপারে জানান, যা চাল পাওয়া গিয়েছে, তা দিয়েই রান্না হচ্ছে। খারাপ-ভাল চালের ব্যাপারে তাঁর কিছু করার নেই। এই ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন স্কুলে যান রঘুনাথগঞ্জ চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক ইপতিকার আহমেদ। তিনি বলেন, “চালের মান সত্যিই খুব খারাপ। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিডিও-র সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জঙ্গিপুরের এসডিও এনাউর রহমান বলেন, “স্কুলে যদি খারাপ মানের চাল দেওয়া হয়, তবে কোনও অবস্থাতেই সেই চাল দিয়ে মিড-ডে মিল রান্না করা যাবে না। চাল যদি প্রাশসনের কাছে রাখা নমুনার সঙ্গে না মেলে তবে তা ডিলারের কাছ থেকে বদলে নিতে বলা হয়েছে সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। অবিলম্বে চাল বদলে ভাল চালে মিড-ডে মিল রান্না করতে হবে। এত দিন কেন তা করা হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|