|
|
|
|
বেহাল রাস্তাতেই চলছে কর আদায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
ব্রিটিশ আমল থেকেই বহরমপুরে যানজট এই শহরের চেনা এক বৈশিষ্ঠ্য। যানজটের ফলে শহরের উত্তর-পশ্চিমে ভাগীরথী পার হয়ে খাগড়াঘাট স্টেশন লাগোয়া নওদাপাড়া গ্রামের কাছে রেলগেট থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ভাকুড়ি পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ জুড়ে প্রতি দিন নিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা অচল হয়ে থাকছে। ওই দীর্ঘ পথ জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে উত্তরবঙ্গগামী ও কলকাতাগামী দূরপাল্লার যানবাহন থেকে এ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বহরমপুরে যাতায়াতের যাবতীয় যানবাহন। জাতীয় সড়ক বহরমপুরের বুক চিরে চলে যাওয়ায় তৈরি যানজটের ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে গোটা শহরটাই। তার উপরে রয়েছে ক্রমেই সংকীর্ণ রাস্তায় ক্রমবর্ধমান বাইক, গাড়ি ও রিকশার সংখ্যা। ওই বেহাল দশা অতি সম্প্রতি বাড়িয়ে দিয়েছে তিন চাকার ‘লাদেন’ অথবা ‘লছিমন।’ এখানেই শেষ নয়। রয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় লাগোয়া সড়কের উপর নাকাবন্দি করে পুরসভার পক্ষ থেকে পথ কর আদায় করা। সব মিলিয়ে পথচারীদের নাজেহাল দশা। বহরমপুর পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “শহরে ঢোকার ঠিক মুখে পঞ্চাননতলায় ও চোঁয়াপুরে দু’টি রেলগেট রয়েছ। ট্রেন যাতায়াতের জন্য ওই দুই’টি রেলগেট দিনরাত মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় মোট অন্তত ২৮ বার বন্ধ করা হয়। তার ফলে তৈরি হওয়া যানজটে শহর নাকাল হয়ে পড়ে। ওই সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েক দশক ধরে রেলের কাছে বহরমপুরের মানুষের দাবি, দু’টি ওভার ব্রিজ। একটি পঞ্চাননতলায় ও অপরটি চোঁয়াপুরের কাছে।” রাজ্য পূর্ত দফতরের সদ্য বিদায়ী প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা বর্তমানে মৎস্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী। তাঁর বাড়িও চোঁয়াপুর রেলগেটের পাশেই। সুব্রতবাবু বলেন, “সত্যি যানজটের সমস্যা ভায়বহ আকার নিয়েছে। ওই সমস্যা সমাধানের জন্য চোঁয়াপুরে ও পঞ্চাননতলায় রেলের দু’টি ওভার ব্রিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই পরিকল্পনা দ্রুত কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” চোঁয়াপুরে ও পঞ্চাননতলায় রেলের দু’টি ওভার ব্রিজ করলেই কিন্তু বহরমপুর শহরের যানজটের সব সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করেন খোদ পুরপ্রধান নীলরতনবাবুই।
তিনি বলেন, “শহরের জনসংখ্যা ২ লক্ষেরও বেশি। তার উপরে রয়েছে পুরসভা লাগোয়া এলাকার ঘন বসতি। সেই শহরে পুরসভা অনুমোদিত রিকশা ও ভ্যান মিলিয়ে মোট সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার। তার উপরে রয়েছে বহরমপুর পুরসভা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো পঞ্চায়েত এলাকার আরও প্রায় ৭ হাজার রিকশা। পঞ্চায়েত এলাকার রিকশা শহরে ঢোকার বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত না হলে যানজটের পুরোটা সামাল দেওয়া যাবে না।” |
|
|
|
|
|