|
|
|
|
|
কলেজ ভোটে সিপি-টিএমসিপি ‘বিচ্ছেদ’
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
|
নদিয়ার কোনও কলেজেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র পরিষদ-টিএমসিপি জোট হচ্ছে না। জেলার ১৯টি কলেজের মধ্যে ১৭-টিতে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন। তার আগে বৃহস্পতিবার এ কথা স্পষ্ট করে দিলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র পরিষদের সঙ্গে জোট করার কোন প্রশ্নই নেই। সিপিএমের বি টিমের সঙ্গে জোট করা মানে পাপ বহন করা।’’
জেলা কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক সমর চক্রবর্তী এ কথার জবাব বলছেন, ‘‘শুধু আমাদের ছাত্র-সমর্থকদের উপরেই নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুন্ডাবাহিনী কলেজ অধ্যাপকদের উপরেও যে ভাবে হামলা চালাচ্ছে তাতে ওদের সঙ্গে জোট করে ছাত্রদের কাছে ভোট চাওয়ার সাহস কে দেখাবে!”
ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি কলেজেই ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপি আলাদাভাবে লড়ছে। গতবারও অবশ্য দু-একটি কলেজ ছাড়া সব কলেজেই জোট করে লড়াই করেছিল সিপি এবং টিএমসিপি। কিন্তু গত কয়েক মাসে দুই ছাত্র সংসদের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। বগুলায় দুর্গাপুজোর ভাসানে গন্ডগোলের জেরে পুলিশের গুলিতে কংগ্রেস নেত্রী রাজেশ্বরী মল্লিকের মৃত্যুর পরে বগুলা কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নিত্যগোপাল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলা জুড়ে দুই শরিকের সম্পর্ক ক্রমেই ‘মধুর’ হয়ে ওঠে। শুরু হয়ে যায় দু পক্ষের সংঘর্ষ।
করিমপুর পান্নাদেবী কলেজ, বেতাই বি.আর.অম্বেডকর কলেজ, বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজ, শান্তিপুর কলেজ কিংবা চাপড়া বাঙালঝি কলেজেও দুই জোট শরিকের সংঘর্ষের ঘটনার প্রভাব পড়ে দুই দলেও। সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের দূরত্বতের প্রভাব ছাত্র রাজনীতিতেও পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সম্প্রতি কল্যাণীতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সম্মেলনে জোট না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি। সংগঠনের জেলা সভাপতি জয়ন্ত পাল বলেন, ‘‘জেলা সম্মেলনে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ছাত্র পরিষদের সঙ্গে কোনভাবেই জোট করা যাবে না। সারাবছর ধরেই ছাত্র পরিষদের গুন্ডাবাহিনী যেভাবে আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে তাতে করে আর জোট করার জায়গা নেই।” পাশাপাশি ছাত্র পরিষদও জোটের ব্যাপারে আগ্রহী নয় বলে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, সংগঠনের রাজ্য কমিটির সম্পাদক অর্ঘ্য গণ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জেলার প্রতিটি কলেজের ইউনিটের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুন্ডাদের হাতে বারবার আক্রান্ত হওয়ার ফলে তারা কেউই আর জোট করতে রাজি নয়।’’ |
|
|
|
|
|