|
|
|
|
অবস্থানকারীরা ধৃত |
শিল্প-সমস্যা খতিয়ে দেখল প্রতিনিধিদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
রাজ্যের শিল্প-মুখ হলদিয়ার কলে-কারখানায় মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে শ্রমিক অসন্তোষ। শিল্প ঘিরে রয়েছে জমির সমস্যাও। পরিবেশ-দূষণেরও অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্প-সংস্থা পরিদর্শন করে সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকগুলি চিহ্নিত করতে চাইল বিধানসভার শিল্প-বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদল।
কমিটির চেয়ারম্যান পরেশ অধিকারীর নেতৃত্বে বিধায়ক শিউলি সাহা, আনিসুর রহমান, পুলক রায়-রা এ দিন সকালে প্রথমেই যান হলদিয়া বন্দরে। নাব্যতার সঙ্কটে জর্জরিত বন্দরে জাহাজের ঢোকা-বেরোনোর চ্যানেলগুলি দেখেন তাঁরা। হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল, মিৎসুবিশি, সিইএসসি-র নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, একাধিক ভোজ্য তেলের কারখানাও ঘুরে দেখেন তাঁরা। পরে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশবাবু বলেন, “জমি, শ্রমিক, পরিবেশগত নানা সমস্যাই রয়েছে। বিধানসভাতেও আলোচনা হবে।” ২০০৮ থেকে এই শিল্পশহরে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্রের সমস্যায় একাধিক প্রকল্পের সম্প্রসারণ ও নতুন শিল্প গড়ার কাজ থমকে রয়েছে জানিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী আনিসুর রহমান বলেন, “পরিবেশের সমস্যায় নতুন শিল্প আসতে পারছে না। কেন্দ্রের সঙ্গেও আলোচনা প্রয়োজন। বন্দরের নাব্যতা-সঙ্কটও একটা বড় সমস্যা। তা নিয়েও আলোচনা হবে।” |
|
পরিদর্শনে স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিরা। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিরা হলদিয়া ছাড়ার পরেই পুনর্বাসন ও চাকরির দাবিতে বন্দরের সদর দফতর জওহর টাওয়ারের কাছে বেশ কিছু দিন ধরে অবস্থানরত জনা তিরিশ লোককে এ দিন গ্রেফতার করে পুলিশ। অবস্থানরত ‘উদ্বাস্তু কল্যাণ সমিতির’ লোকজনের সঙ্গে সে সময়ে খণ্ডযুদ্ধও বাধে পুলিশের। পরে ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে হলদিয়া থানাতেও বিক্ষোভ দেখায় সমিতি। গত ১১ জানুয়ারি থেকে জওহর টাওয়ারের কাছে ওই অবস্থান চলছিল। বন্দরের জন্য জমি দিয়েও অনেক পরিবারেরই পুনর্বাসন-চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ উদ্বাস্তু সমিতির। |
|
|
|
|
|