শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্র সংস্কারে বরাদ্দ ৫ কোটি
বেশ কয়েক বছর ধরেই বেহাল পড়ে রয়েছে বেলদার দেউলিতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্র। সরকারি উদাসীনতায় ভেঙে পড়ছে বন্ধ কলেজের ভবন, ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষকদের আবাসন। চারদিকে জন্মাচ্ছে আগাছা। এ বার সেই প্রতিষ্ঠানটিকেই ঢেলে সাজার জন্য উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। প্রায় ৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এসে গিয়েছে এবং শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পূর্ত দফতর।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তিনটি সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে একটি বেলদার দেউলিতে, অন্য দু’টি ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর শহরে। এনসিটিই-র অনুমতি না-পাওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানই এখন বন্ধ। ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই যেতে হয় ইচ্ছুক ছাত্রদের। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠনের খরচ বেশি। অভিযোগ, সরকারি উদাসীনতার কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলি এখনও বন্ধ। তবে এ বার বেলদার পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এনসিটিই-র কাছে কলেজ খোলার অনুমতিও চেয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হচ্ছে। যদিও এখন কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ নেই। তবে প্রয়োজনীয়-সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন। রয়েছে খেলার মাঠ, ল্যাবরেটরিও। পানীয় জলের সুব্যবস্থা, পুরনো-ভবন সংস্কার, নতুন ভবন তৈরি, ছাত্রাবাস তৈরি-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। পানীয় জল প্রকল্প ও সরবরাহে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ও পুরনো-ভবন সংস্কারে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রাচীরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও নতুন প্রশাসনিক ভবন ও শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য প্রায় ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা, অধ্যক্ষের আবাসনের জন্য প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা, তিনতলা শিক্ষক আবাসনের জন্য প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা, দোতলা ছাত্রাবাসের জন্য প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা, একতলা ছাত্রী আবাসনের জন্য প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা ও প্রতিষ্ঠানের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতের রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ৫ কোটি টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পূর্ত দফতরকে দিয়েও দিয়েছে সরকার। পূর্ত দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুরনো-ভবন সংস্কারের কাজের দরপত্র ডাকা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। তারই মধ্যে বাকি কাজের দরপত্র ডাকার কাজও চলবে। এ বছরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজ চালুর অনুমতি মিলতে পারে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নমিতা ভট্টাচার্য বলেন, “যাতে প্রতিষ্ঠানটি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পঠন-পাঠনের অনুমতি পায় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.