পোর্ট সইদের প্রাণঘাতী ফুটবল দাঙ্গার পর তোলপাড় গোটা মিশর। ৭৪ জনের মৃত্যু, হাজারের উপর আহত। গ্রেফতার হয়েছে ৫২ জন। যে তাহরির স্কোয়ার থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে হোসনি মুবারককে হটানোর বিপ্লব শুরু হয়েছিল সেখানে ফের জমায়েত হয় বৃহস্পতিবার সকালে। গাড়ি আর ব্যারিকেডে তাহরির স্কোয়ার অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, দাঙ্গা সামলাতে পুলিশ পুরোপুরি ব্যর্থ। বিক্ষোভ হয় পোর্ট সইদেও। সেখানে কিছু কিছু জায়গায় মিলিটারি-টহলও হয়েছে।
সঙ্গত কারণেই নড়েচড়ে বসেছে ফিফাও। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা থেকে ইতিমধ্যে ম্যাচ ও গণ্ডগোলের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। |
বুধবার পোর্ট সইদের আল-মাসরি ৩-১ হারায় কায়রোর আল-আহলিকে। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আল-মাসরি সমর্থকরা দলে দলে ঢুকে পড়ে মাঠে। প্রথমে পুলিশ নাকি ভেবেছিল সামনের সারির আল-আহলিকে হারানোর আনন্দেই দর্শক মাঠে ঢুকছে। পরক্ষণেই দেখা যায়, আল-মাসরির সমর্থকরা দৌড়চ্ছেন আল-আহলি ফুটবলার এবং সমর্থকদের মারতে। তাদের হাতে রড, ছুরি ইত্যাদি অস্ত্রও ছিল বলে জানা গিয়েছে। স্টেডিয়ামে দাঙ্গাবিরোধী বাহিনীর পুলিশ ছিল সংখ্যায় অল্প। গ্যালারির বেশ খানিকটা অংশে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল আল-মাসরি সমর্থকরা।
ঘটনার জেরে ইস্তফা দিয়েছেন পোর্ট সইদের গভর্নর। নীরবতা পালন হয়েছে মিশরের পার্লামেন্টে। আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের আয়োজকরা জানিয়েছেন ওই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল শুরুর আগেও নীরবতা পালন করা হবে। মিশরীয় লিগের সব খেলা এখন বন্ধ অনির্দিষ্ট কালের জন্য। ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে। মিশরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড আবার দাবি করেছে, দাঙ্গার জন্য মুবারক-পন্থীরাই দায়ী। |