টেস্ট সিরিজের পর এ বার টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেটের ফর্ম্যাটের বদল হলে কী হবে, অস্ট্রেলীয়দের হুঙ্কার থামছে না। বরং ধোনিদের দিকে আরও একটা হোয়াইটওয়াশ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে জর্জ বেইলির অস্ট্রেলিয়া।
সিনিয়রদের বদলে ভারতীয় দলে এখন সুরেশ রায়নার মতো তরুণ রক্ত। মাঠে ছটফটানি কিছুটা বেড়েছে বটে, কিন্তু টিমের ব্যাটিংয়ের কাঠামোতে কোনও পরিবর্তনের ছাপ নেই। বরং বাইশ গজে সেই ধসে পড়ার পুরনো গল্প। শুক্রবার অস্ট্রেলীয়দের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সম্মান বাঁচবে কি না সেটাই এখন প্রশ্ন। |
ধোনি-গম্ভীররা কি পারবেন আরও একটা হোয়াইটওয়াশ এড়াতে? |
হাসি কিন্তু কোনও রকম ছাড়াছাড়ির ইঙ্গিত দিচ্ছেন না। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় একার হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন যিনি, সেই ডেভিড হাসির হুঙ্কার, “আমরা ২-০ চাই। আর কিছু ভাবছি না।” এমসিজি হাসির অন্যতম প্রিয় স্টেডিয়ামগুলোর একটা। এবং সেখানে নামার আগে বলে রাখছেন, “আমরা ভাল ক্রিকেট খেলছি। এমসিজি-র নব্বই হাজার দর্শককে নিখুঁত একটা ম্যাচ উপহার দিতে চাই। এই ধারাবাহিকতাটাকে ধরে রাখতে হবে।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “আর ২-০ করার জন্য এমসিজির চেয়ে ভাল মাঠ হয় না। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর বলা যায় এমসিজিকে। নব্বই হাজার দর্শক সব সময় উৎসাহ দিয়ে যান। ক্রিকেটের এর চেয়ে ভাল পরিবেশ গোটা দুনিয়ায় আর কোথাও নেই।”
পাশাপাশি ডেভিড হাসি বুঁদ আরও এক ‘ডেভিড’-এর কীর্তি নিয়ে। তিনিডেভিড ওয়ার্নার। সুইচ হিটে যাঁর দক্ষতা দেখে হাসি উছ্বসিত। বলেছেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা নতুন জিনিস। ও এমনিতেই অসম্ভব ভাল ক্রিকেটার। বাঁ হাত, ডান হাত, দু’হাতই ব্যাট করতে পারে। আর ওই শটটা নিয়ে ও নেটে নিয়মিত খেটেছে।” পাশাপাশি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিজের লক্ষ্যের কথাও জানিয়ে রেখেছেন। বলেছেন, “বিশ্বের সেরা ক্রিকেট সমর্থকদের সামনে সেরা ক্রিকেট উপহার দিতে চাই।” যদিও ভারতকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। হাসির কথায়, “ওদের টিম লিস্টে চোখ রাখুন। দেখবেন, তিনে কোহলি, চারে রায়না, পাঁচে রোহিত, তার পর ধোনি, জাডেজা। ওরা সবাই কিন্তু আইপিএলে দাপিয়ে খেলেছে। টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ান ডে-তে যে কোনও সময় ওরা আগুন ছোটাতে পারে। ওরা সত্যিকারের ম্যাচ উইনার।” |