ফেডারেশনের সঙ্গে যুদ্ধে আই লিগের ক্লাব
জে লিগ, ই পি এলের মতোই আই লিগের স্বতন্ত্র মর্যাদা চেয়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চলেছে আই লিগ খেলা ক্লাবগুলি। এই দাবি নিয়ে কী ভাবে এগোনো হবে তা ঠিক করতে মঙ্গলবার মুম্বইয়ে মিলিত হচ্ছেন ক্লাবগুলির প্রতিনিধিরা। ফেডারেশনও পাল্টা এই জোট ভাঙার চেষ্টায়। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য এই সভায় থাকছে না।
সভার প্রধান আহ্বায়ক পুণে এফ সি-র সচিব চিরাগ তান্না ফোনে বলে দিলেন, “এ এফ সির নিয়ম আমাদের উপর প্রতিদিন চাপিয়ে দিচ্ছে ফেডারেশন। ক্লাবের খরচ বাড়ছে। অথচ লিগ চালানোর ক্ষেত্রে এ এফ সি-র নিয়মই মানা হচ্ছে না।” তাঁর দাবি, কলকাতার দুটি ক্লাব মোহনবাগান, প্রয়াগ ইউনাইটেড-সহ গোয়া, মুম্বই-এর সব ক’টি ক্লাবই সভায় যোগ দিচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আমাদের এমন সভার কথা কেউ বলেনি। এমন প্রস্তাব এলে সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেব।” মোহনবাগান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “আমরা মুম্বইয়ের সভায় যাচ্ছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
বছর কয়েক আগে বিজয় মাল্যর উদ্যোগে এক বার জাতীয় লিগের ক্লাবগুলো এক জোট হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা তেমন কাজে আসেনি। পুণে কর্তার দাবি, আই লিগের মিটিংয়ের আগে আমরা যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতে পৈলান ছাড়া সবাই সই করেছিল। সে সব দাবির অনেক কিছু মানা হয়েছে।
ক্লাবগুলো যে দাবি করতে চলেছে তা চালু হলে ফেডারেশন কর্তাদের হাতে আই লিগের রাশই থাকবে না। ক্লাব কর্তারা যে দাবি সনদ তৈরি করছেন তাতে প্রধান দুটো বিষয় থাকছে
১) কুড়ি জনের কমিটি হবে। তাতে ১৪ দলের প্রতিনিধিকে রাখতে হবে। যা জে লিগে হয়।
২) আই লিগের টিভি স্বত্ব বিক্রি করে যে টাকা উঠবে তার একটা অংশ ক্লাবগুলিকে দিতে হবে।
সব ক্লাবকে জোটবদ্ধ করতে প্রধান ভুমিকা নেওয়া এক কর্তা এ দিন বললেন, “বি সি সি আইয়ের মধ্যে থেকেও যেমন আই পি এলের আলাদা কমিটি আছে আমরা সে রকমই চাইছি আই লিগে। এ এফ সি তো সেটাই চাইছে। কিন্তু ফেডারেশন কর্তারা তা হতে দিচ্ছে না গুরুত্ব কমে যাওয়ার ভয়ে।”
ক্লাবদের জোটবদ্ধ হওয়া নিয়ে এখনই ভাবতে নারাজ ফেডারেশন কর্তারা। ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত বললেন, “আগে ওরা কী দাবি জানায় দেখি, তার পর যা বলার বলব।” তবে ফেডারেশন এই যুদ্ধে ঢাল করতে চলেছে স্পনসর আই এম জি-র চুক্তিকে। এক কর্তা বললেন, “আই লিগ তো পনেরো বছরের জন্য বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এ সব করতে হলে করতে হবে পনেরো বছর পরে। তা ছাড়া এ এফ সি-র গাইড লাইন মানতে হবে এ রকম কোনও মানে নেই।” জানা গেছে, ক্লাবগুলি যাতে সভায় না যায় সেই চেষ্টা শুরু করেছেন ফেডারেশন কর্তারা।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.