আই লিগের প্রথম বড় ম্যাচের সঙ্গে এ বারের কী আশ্চর্য ফারাক!
২০ নভেম্বর ট্রেভর মর্গ্যানের পকেটে ছিল গত মরসুমের ডার্বিগুলোয় ৪-০ এগিয়ে থাকার আত্মবিশ্বাস। এ বার সুব্রত ভট্টাচার্য নামবেন চলতি মরসুমের ২-০ এগিয়ে থাকার বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
শুধু কোচ নয়, মিল রয়েছে দলের ফুটবলারদের মধ্যেও। টোলগে ওজবে ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের সব ফুটবলারই সে বার ছিলেন খেলার অবস্থায়। এ বার মোহনবাগানে কারও বড় চোট নেই। নেই দু’টো হলুদ কার্ড দেখার ঝামেলা।
তবে কিন্তু-যদি একটু আছেই। ওডাফা ওকোলি আগের ম্যাচে একটু চোট পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের প্র্যাক্টিসে নাইজেরীয় গোলমেশিনকে তাই ছুটি দিয়েছিলেন কোচ-টিডি। অসীম বিশ্বাস আসতে পারেননি বাবার অসুস্থতার জন্য। হোসে ব্যারেটো আর রহিম নবি ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত থাকলেন জোনাথন কর্নারের সঙ্গে। বল নিয়ে যে সিচুয়েশন মুভগুলো সুব্রত ভট্টাচার্য করাচ্ছিলেন তাতে ওই দু’জনই গর-হাজির ছিলেন। কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানালেন, ব্যারেটো খেলতে পারবেন। |
নবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত শুক্রবার। নবি নিজে বললেন, “এখনও পর্যন্ত ঠিক আছি। তবে শুক্রবার প্র্যাক্টিসে দেখব, লাগছে কি না। যদি লাগে, তাহলে খেলার ঝুঁকি নেব না। এখনও অনেক ম্যাচ বাকি।” আর ওডাফা? মোহনবাগানের সরকারি ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল সব সময় বিশেষ গোল। আই লিগ এখনও যে কেউ জিততে পারে। এখন পয়েন্ট হারালে সমস্যা হবে।” স্পষ্ট ইঙ্গিত, তিনি খেলবেন।
অনুশীলন চলাকালীন আবার চোট পেয়ে কোচ-টিডিকে চিন্তায় ফেলেছিলেন হাদসন লিমা। পরে জানা গেল, হাদসনের ডান হাঁটুতে লেগেছে সামান্যই। শনিবার খেলায় বাধা নেই। সমর্থক বেশি না থাকলেও হাজির নামী টিভি চ্যানেলআল জাজিরা। তাদের কলকাতায় আসার আসল উদ্দেশ্য, পিএলএসের উত্তেজনার আঁচ তুলে নিয়ে যাওয়া। বাড়তি হিসাবে তাঁরা নিয়ে যাচ্ছেন এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো ফুটবল ক্লাবের ছবি, অধিনায়ক ব্যারেটোর ইন্টারভিউ। প্র্যাক্টিস দেখতে তখন সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে বসে দুই প্রাক্তনমস্তান আহমেদ ও বাবু মানি। পরে যোগ দিলেন মনোহরণ।
আগের চিরাগ কেরল ম্যাচে খেলতে পারেননি দুই নিয়মিত স্টপার কিংশুক ও আনোয়ার। শনিবার দলে ফিরছেন দু’জনই। তাঁদের সামনে ডিফেন্সিভ স্ক্রিন কেড্যানিয়েল জেলেনি না রাকেশ মাসি তা এখনও ঠিক করেননি কোচ-টিডি। মাঝমাঠ সাজানো নিয়েই চিন্তা সুব্রতর। ওডাফা আর সুনীল ছেত্রী শুরু করবেন ফরোয়ার্ডে। সে ক্ষেত্রে ব্যারেটো থাকবেন মাঝমাঠে। তাঁর সঙ্গে জুয়েল রাজা থাকছেনই। জেলেনি ও মাসি একসঙ্গে থাকলে মণীশ ভার্গবকে বসতে হবে। সে ক্ষেত্রে শুরু থেকে খেলতে পারবেন না হাদসন।
ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহের প্রয়াগ ইউনাইটেড ম্যাচের অবিশ্বাস্য গোল খাওয়াকে বড় করে দেখতে চান না প্রশান্ত। গুরুত্ব দেননি সন্দীপের গত ডার্বির বিশ্রী গোল খাওয়াকেও। বলেন, “গুরপ্রীত বাচ্চা ছেলে। ভুল করে ফেলেছে। সন্দীপ কিন্তু অভিজ্ঞ। সে দিনের মতো ভুল বারবার করবে নাকি?” ডার্বির ফল নিয়ে আগাম ভাবতে নারাজ তিনি। ব্যারেটোও একমত কোচের সঙ্গে, “বড় ম্যাচ তো সবসময়ই সে জেতে যে বেশি চাপ সামলাতে পারে।”
আবেগ নয়, আই লিগ টেবিলের দুই ও তিনের লড়াইয়ে এ বার নজর অঙ্কে। |