বধূ নির্যাতনে আট জনের জেল হাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
বধূ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত ৮ জনকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন রামপুরহাটের এসিজেএম আনন্দকুমার তিওয়ারি।
২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রামপুরহাটের শিবদাসপুর গ্রামে বধূ সোহাগি লেটের মাথার চুল কেটে, অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রাম ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর ‘প্রেমিক’ তামাল লেটের পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তামালের মা লবানি লেট ও দিদি সরস্বতী লেটকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা আপাতত জেল হাজতে। পরবর্তীতে পুলিশ শিবদাসপুর গ্রামে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালায়। তমাল লেটের দিদিমা বলরামপুরের বাসিন্দা কাঁদুনি লেট, তিন মামা আশিস লেট, বাহাদুর লেট ও পথিক লেটের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও তাঁদের সন্ধান পায়নি পুলিশ। অভিযোগে নাম না থাকলেও পুলিশ তদন্তে নেমে শ্রীকান্ত লেট ও আকাল লেট জড়িত আছে এই অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদেরও ১৪ দিন জেল হাজত হয়। বৃহস্পতিবার তমালের দিদিমা কাঁদুনি লেট, দুই মামা আশিস লেট, বাহাদুর লেট, কাকা নব লেট ও তাঁর স্ত্রী ঝুলু লেট, আর এক কাকা বাবলু লেট ও তাঁর স্ত্রী শিখা লেট এবং শিবদাসপুরের বাসিন্দা নীলকান্ত লেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নির্যাতন ও মারধরে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল নীলকান্ত লেটের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে ১০ জনের জেলহাজত হয়েছে। সোহাগি বর্তমানে রামপুরহাটের একটি সরকারি হোমে রয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “শুনেছি এ দিন ৮ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে গ্রামে তল্লাশি চালাচ্ছে। তদন্ত চলছে।”
|