একই দিনে তৃণমূলের দু’টি আলাদা সম্মেলনের ডাকে পোস্টার পড়ল আউশগ্রামে। আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূলের তরফে আগামী শনিবার একটি সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই দিনেই আউশগ্রাম বিধানসভা তৃণমূলের নামে ‘পঞ্চায়েতী রাজ সম্মেলন’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে।
প্রথম সম্মেলনটিতে থাকার কথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, প্রাণিসম্পদ বিকাশমন্ত্রী নূরে আলম চৌধুরী, বীরভূমের দলীয় জেলা সভাপতি অনুব্রত সিংহ, বর্ধমানের দলীয় জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ প্রমুখের। তৃণমূলের গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “যে নেতাদের ওই পঞ্চায়েতী রাজ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা, তাঁরা প্রায় সকলেই দল থেকে ইতিমধ্যে বহিষ্কৃত। শুধু তাই নয়, সম্মেলনের পোস্টারে কোনও অনুমতি না নিয়েই জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান হোসেন আলি খন্দকারের নাম রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।” দলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপনবাবুও বলেন, “কোনও ব্লকে এক সঙ্গে দলের দু’টি সম্মেলন হতে পারে না। ব্লক সভাপতিদের সম্মেলন ডাকতে বলা হয়েছে। দলের অনুগত সদস্যেরা ওই সম্মেলনেই যোগ দেবেন।” |
পঞ্চায়েতী রাজ সম্মেলনটির উদ্বোধন করার কথা গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান চঞ্চল গড়াইয়ের। তিনি বর্তমানে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত। আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ টগর দাবি করেন, চঞ্চলবাবু গণ্ডগোল পাকানোর জন্যই ওই দিন দিন পাল্টা সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন। চঞ্চলবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকেও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চঞ্চলবাবু অবশ্য বলেন, “দল থেকে বহিষ্কৃত তো কী হয়েছে? কর্মীরা চেয়েছেন বলেই আমি ওই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছি। আমাদের সম্মেলন আউশগ্রামে হচ্ছে। ওঁদেরটা হচ্ছে বন নবগ্রামে। দু’জায়গার মধ্যে অন্তত চার কিলোমিটারের দূরত্ব। গোলমাল হবে কেন?”
পুলিশ সুপার সৈয়দ হোসেন মির্জা এ দিন বলেন, “দুই গোষ্ঠী একই দিনে আলাদা সম্মেলন ডেকেছে বলে খবর পেয়েছি। যাতে কোনও গোলমাল না হয়, সে দিকে নজর রাখছি আমরা। ইতিমধ্যে ডিএসপি (সদর)-কে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। উনি ফিরে এসে আমাকে রিপোর্ট দেবেন।” |