|
|
|
|
হোটেল-শপিং মলের সামনে ওয়েবক্যাম, নিদান পুলিশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
শিল্পাঞ্চলের সমস্ত বড় হোটেল, হাসপাতাল, শপিং মলের সামনে ‘ওয়েবক্যাম’ লাগানোর আবেদন করলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ। বৃহস্পতিবার তিনি বিভিন্ন হোটেল, হাসপাতাল, শপিং মল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এতে পুলিশের কাজ সহজ হবে।”
পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন প্রথমে দুর্গাপুরে বৈঠক হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিশ কমিশনার জানান, অপরাধমূলক কাজকর্ম বা কোনও অঘটন ঘটলে অনেক সময়ে পুলিশের কাছে খবর যেতে দেরি হয়। এর ফলে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ করতে পারে না পুলিশ। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পেয়ে যায়। সে জন্য হোটেল, হাসপাতাল, শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা চান পুলিশ কমিশনার। পরে আসানসোলেও একই রকম বৈঠক করেন তিনি।
শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু হোটেল, হাসপাতাল ও শপিং মলের ভিতরে সিসিটিভি রয়েছে। কন্ট্রোল রুমে বসে কর্মীরা সারা দিনই আগন্তুক ও ক্রেতাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু ভবনের বাইরের দিকে তেমন কোনও ব্যবস্থা না থাকায় অপরাধ করে বাইরে বেরিয়ে পড়লে দুষ্কৃতীরা নজরদারির বাইরে চলে যায়। এমন যাতে না হয় সে জন্য এই সমস্ত ভবনের বাইরে সামনের অংশেও বিশেষ ক্যামেরা লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। সেই ক্যামেরায় ধরা ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি পৌঁছে যাবে আসানসোলের কন্ট্রোল রুমে। সেখানে পুলিশকর্মীরা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। কোনও অপরাধ ঘটলে ছবি দেখে দুষ্কৃতীদের তৎক্ষণাৎ শনাক্ত করা যাবে বলে পুলিশের দাবি। সেক্ষেত্রে দ্রুত পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশকর্মীদের একাংশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভুল তথ্য পাঠান বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘ওয়েবক্যাম’ লাগানো হলে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মীদের গতিবিধিও নজরে রাখা যাবে। সে ক্ষেত্রে কর্মীদের দায়বদ্ধতাও বাড়বে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এ সবের জন্যই হোটেল, হাসপাতাল ও শপিং মল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ক্যামেরা লাগানোর আর্জি জানান পুলিশ কমিশনার। বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, “এই ব্যবস্থা চালু করা গেলে অপরাধীদের শনাক্ত করার কাজে সুবিধা হবে।” |
|
|
|
|
|