অগ্নিকাণ্ডের পর ১৮ দিন কাটলেও পুলিশি তদন্ত না-হওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কলেজের রসায়ন বিভাগ তালাবন্দি হয়ে রয়েছে। বিপাকে শ’দেড়েক ছাত্রছাত্রী। সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা। অথচ প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস হচ্ছে না। উদ্বিগ্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্ত শেষ করে রসায়নাগার খুলে দিতে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হলেও কাজ হচ্ছে না। কলেজের অধ্যক্ষ বিনয় রবিদাস বলেন, “বিকল্প রসায়নাগার নেই। বালুরঘাট থানায় যোগাযোগ করছি। তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করে বিভাগটি খুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হলেও আশ্বাস ছাড়া কোনও কাজ হচ্ছে না।” বালুরঘাট থানার আইসি শান্তনু কোঁয়ার বলেন, “ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের তদন্তে ডাকা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিশেষজ্ঞের দলটি বালুরঘাটে পৌঁছবেন বলে জানতে পেরেছি।” পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে সমস্যা থাকলে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।” ডিসেম্বর মাসে বালুরঘাট কলেজের রসায়নাগারে আগুন লাগে। রহস্যজনক এই অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয় ঘরের আসবাব। তদন্তে নামে কলেজ পরিচালন সমিতি-সহ বালুরঘাট থানার পুলিশ। সদর মহকুমাশাসক দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সরজমিন তদন্ত করেন। অগ্নিকাণ্ডের কিনারা না-হওয়ায় পুলিশ রসায়নাগারটি সিল করে কলকাতার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হয়। পাঁচ দিনের মধ্যে ওই বিশেষজ্ঞ দলটি বালুরঘাটে এসে ভস্মীভূত রসায়নাগারটি পরীক্ষা করবে বলে পুলিশের তরফে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ঘরটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরে তদন্ত কাজ একচুল এগোয়নি। ঘর খোলেনি রসায়ানাগারের। ক্লাস করতে পারছেন না পড়ুয়ারা। দেড়শো ছাত্রছাত্রী পাস কোর্সের প্র্যাটিক্ট্যাল ক্লাস করেন সেখানে। এই অবস্থায় কলেজের ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পিএসইউ-য়ের জেলা সম্পাদক সরোজ কুণ্ডু বলেন, “অবিলম্বে ভস্মীভূত ঘরটি সংস্কার করে ক্লাস চালু করতে হবে। না-হলে ভোগান্তি হবে ছাত্রছাত্রীদের।” তাঁর বক্তব্য, “উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছি। কিন্তু তদন্তে এত দেরি হলে তো ছাত্রছাত্রীরা পঠনপাঠনে চরম সমস্যায় পড়বেন।” |