দলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে মালদহে জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। রবিবার মালদহের ইংরেজবাজারের কৃষ্ণজীবন সান্যাল রোডে ৩০০ মিটার ব্যবধানে দুই প্রান্তে ম্যারাপ বেঁধে দলের ১৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র গোষ্ঠী ও ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার গোষ্ঠী। শহরের একই রাস্তার দুই প্রান্তে তৃণমূলের দুই গোষ্টীর প্রতিষ্টা দিবসকে ঘিরে এদিন দিনভর নাটক চলে দুই শিবিরে। দলের একটি গোষ্ঠীর পাল্টা প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করার কথা জেনে বেজায় চটেছেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। কেক কেটে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সূচনা করে হাতে মাইক তুলে নিয়ে বিরোধী গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “দলে থেকে যারা গোষ্ঠীবাজি করছে তাদের প্রত্যাখান করুন। এদের যদি আমরা প্রত্যাখান না করি, তবে মা মাটি মানুষের দলের ক্ষতি হবে।” পরে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠা দিবসে জেলার সমস্ত নেতা কর্মীকে মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে কেন্দ্রীয় সমাবেশে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছিল। তারপরেও দলের কিছু নেতা এখানে না এসে আলাদা করে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে। গোটা বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার রাজ্য নেতৃত্ব নেবে। মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে ম্যারাপ বেঁধে সকাল থেকে শুরু হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। এখানেই এদিন তৃণমূলের বেশির ভাগ জেলা নেতারা হাজির ছিলেন। নাচ, গান, স্বাস্থ্য শিবির থেকে শুরু করে জেলা সভানেত্রীর উপস্থিতিতে প্রায় হাজার খানেক কংগ্রেস কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে যখন মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস সাড়ম্বরে পালন করা হচ্ছে তখন ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একই রাস্তার অন্য প্রান্তে ইংরেজবাজার থানার সামনে পুরসভার ভাইস চেয়াম্যান তথা জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের অনুগামীরা একই কায়দায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী, সমর্থক এনে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে। যদিও এ ব্যাপারে দুলালবাবুর বক্তব্য, “প্রতিষ্ঠা দিবসে বরাবরই আমি কলকাতায় থাকি। আজকেও আমি কলকাতায় আছি। যুব তৃণমূল আলাদা করে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে।” তাঁর অনুগামী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তী বলেন, “দলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ আমরা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে আসার জন্য জেলা সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তিনি আসেননি।” |