|
|
|
|
ট্রাফিক সপ্তাহ জলপাইগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু অস্বাভাবিক বেড়ে চলেছে জলপাইগুড়িতে। রবিবার ভক্তিনগরে ট্রাফিক সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কথা জানান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সুগত সেন। তিনি জানান, ২০০৯ সালে জলপাইগুড়িতে দুর্ঘটনা হয় ৬০৭টি। মৃত্যু হয় ৬৫ জনের। ২০১০ সালে দুর্ঘটনা হয় ৭০৩টি। মৃত্যু হয় ২৭৮ জনের। ২০১১ সালে ৬৭৭টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৯২ জনের। জখম ৮৩৩ জন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি বলেন, “ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করে তুলতে হবে। সিসিটিভি-র ব্যবস্থাও করা হবে। তবে সরকারকে সময় দিতে হবে। মোটর বাইকে যাত্রীদের হেলমেট ছাড়া যাতায়াত, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথাবার্তা বন্ধ করতে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।” মন্ত্রীর পরামর্শ মেনেই জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বলেন, “বছরের ৩৬৫ দিনই আমাদের ওই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হবে বলে বিশ্বাস।” একই দিনে শিলিগুড়ি ও ভক্তিনগরে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকালে শিলিগুড়ির মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড় থেকে পদযাত্রা হয়। তার আগে শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের একটি সভাও হয় সেখানে। ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি। সাতদিন অনুষ্ঠান চলবে। চালক, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সচেতনতা অভিযান হবে। ভক্তিনগরেও একটি অনুষ্ঠান এবং পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়। সেখানে মন্ত্রী, পুলিশ সুপার ছাড়াও ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত এবং ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। ভক্তিনগর ট্রাফিক পুলিশের তরফে সচেতন করতে লিফলেট বিলি হয়। এদিকে ট্রফিক সপ্তাহ পালনের প্রথম দিনেই দুটি ছোট দুর্ঘটনা ঘটে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে। ২ জন সামান্য জখম হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হিলর্কাট রোডের বিবেকানন্দ মার্কেট লাগোয়া এলাকায় একটি স্কুল বাস নিয়ম না মেনে ঘুরে যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে একটি সিটি অটো বাসে ধাক্কা দেয়। এ ছাড়া, সেবক মোড়ের কাছে স্কুটার নিয়ে পড়ে যান দুই তরুণী। দুটি ক্ষেত্রেই অবশ্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। |
|
|
|
|
|