|
|
|
|
উন্নত ধান চাষে উদ্যোগ রাজগঞ্জে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজগঞ্জ |
রাজগঞ্জ এলাকায় উন্নতমানের ধান চাষে উদ্যোগী হয়েছে রাজগঞ্জ ব্লক কৃষি দফতর। আপাতত রাজগঞ্জের শিকারপুর ও পানিকৌড়ি পঞ্চায়েতকে বেছে নিয়েছে কৃষি দফতর। হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের পরিকল্পনা হয়েছে বলে ওই দফতর থেকে জানানো হয়েছে। রাজগঞ্জ ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিক মধুসূদন রায় জানান, ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারও শুরু হয়েছে। চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় জমি পূরণ না হলে আরও জমি নেওয়া হবে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় চাষিদের উৎসাহিত করতে শিবির করাও হয়েছে। ফেস্টুনও টাঙানো হয়েছে। ব্লক প্রশাসন, এলাকার বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধানদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, করতোয়া সেচ দফতরের শাখা-২ ক্যানেলের দুই ধারের জমিকে ওই ধান চাষের ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। কে আর এইচ-২ নামে শঙ্কর জাতের ধান চাষ করা হবে। ইচ্ছুক চাষিদের নামের তালিকা অনুযায়ী সমীক্ষা চলছে। কিছু জমি চিহ্নিত হয়েছে। সমীক্ষার পর যদি দেখা যায়, চাষের ক্ষেত্র ১ হাজার হেক্টর পূরণ হবে না। তাহলে ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকার ফকিরঢিপ, সরকারপাড়া, মোল্লারবাড়ি, নর্থবেঙ্গল ফার্ম, মুরগিভিটা দিঘিরডাঙা, বাবুপাড়া ইত্যাদি এলাকাকেও চাষের আওতায় আনা হবে। ওই ধান চাষে বীজ ও অণুখাদ্য কৃষি দফতর থেকে চাষিদের দেওয়া হবে। চাষে নামার আগে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষি দফতর জানিয়েছে, যে যতটা পারে ওই ধান চাষ করতে পারে, তার জন্য কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ধানের বীজ দক্ষিণ ভারত থেকে আনা হবে। বীজ মজুত করে রাখার জায়গা থেকে সরাসরি তা নিয়ে যেতে পারবেন চাষিরা। কৃষি দফতরের আধিকারিক মধুসূদনবাবু বলেন, “এতদিন চাষিরা বিঘে প্রতি ১০-১২ মণের উপর ফলন পেতেন। এই ধান চাষে বিঘে প্রতি ১৮-২০ মণ পর্যন্ত ফলন মেলে। বিঘে প্রতি বীজের পরিমাণও কম লাগে, ২ কেজিই যথেষ্ট।” শিকারপুরের লাল্টু রায়, রাজেন রায়, সুমন রায়রা বলেন, “এতদিন বিভিন্ন খোলা বাজার ও ডিলারদের কাছ থেকে ধানের বীজ চাষ করে ঠকতাম। কৃষি দফতরের এই উদ্যোগে আমরা খুশি।” |
|
|
|
|
|