|
|
|
|
তিন প্রকল্পে জল মেলেনি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে তিনটি জলপ্রকল্প গড়ে তোলা হয় ফাঁসিদেওয়ার চটহাটে। অভিযোগ, দু’বছর কেটে গেলেও প্রকল্পগুলি চালু করা হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। পঞ্চায়েত-প্রশাসনে বহুবার দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বাদশা ঘোষাল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ থেকে ওইপ্রকল্পগুলি হয়েছে। বেনিফিসিয়ারি কমিটি করে সেগুলির দায়িত্ব দেওয়ার কথা। প্রকল্পগুলির জন্য অপারেটর নিয়োগের ব্যাপার রয়েছে। ওই ব্যবস্থাগুলি না হওয়াতে সেগুলি চালু হয়নি। বিকল্প কিছু করা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।” বাসিন্দারা জানান, চটহাটের জোড়পাখুরি, পেটকি ও বান্দরঝুলি এলাকায় ওই প্রকল্পগুলি গড়ে তোলা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত-প্রশাসনে বহুবার দাবি জানিয়েও সেগুলি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রকল্প চালু না হওয়াতে প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে। চটহাট পঞ্চায়েত প্রধান রাজু মণ্ডলের অবশ্য দাবি, “প্রকল্পগুলি চালুর ব্যাপারে প্রশাসনে বহুবার দাবি জানিয়েছিও লাভ হয়নি। বাসিন্দারা কুয়োর দূষিত জলই পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।” সেগুলি চালু করা না হলে তা অকেজো হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রধান জানিয়েছেন, প্রকল্পগুলির বিদুত্যের খরচ গ্রাম পঞ্চায়েতকে মেটাতে হবে বলে মহকুমা পরিষদ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। অপারেটরদের বেতনও আমাদের পঞ্চায়েতের তহবিল থেকে মেটাতে হবে। কিন্তু আমাদের পক্ষে তা সম্ভব নয় বলে আমরা মহকুমা পরিষদকে জানিয়েও দিয়েছি।” এলাকার সিপিএম নেতা রবিন্দ্রনাথ রায় ও তৃণমূল নেতা দলিল মহম্মদদের অভিযোগ, চটহাট এলাকার কোথাও পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এলাকায় পানীয় জলের সুব্যবস্থার দাবিতে র্দীঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ খলিল, সুরেশ সিংহ, মহম্মদ খমিজরা বলেন, “চটহাট এলাকায় কোথাও পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বহু আন্দোলনের পর যদিও ওই প্রকল্পগুলি করা হল। তাতে কিন্তু আমাদের কোনও লাভ হল না। প্রশাসনিক গাফিলতিতে দু’বছর পার হয়ে গেলেও সেগুলি চালু করা হচ্ছে না। ফলে আমাদের কুয়োর দূষিত জলই খেতে হচ্ছে। শুখা মরসুমে কুয়োগুলিতে জলই থাকে না। ফলে জলের তীব্র সঙ্কটে ভুগতে হয়।” |
|
|
|
|
|