ট্রেনের কম্পিউটার চালিত আসন সংরক্ষণের কাউন্টার বাড়ানোর দাবি উঠেছে আদ্রায়। রেলকর্মী সংগঠনগুলি ও যাত্রীদের দাবি, আসন সংরক্ষণের কাউন্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যূনতম দু’টি করা হোক। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ ক্ষেত্রে নিয়মগত সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে।
আদ্রা ডিভিশনের বিভাগীয় সদর আদ্রায় ট্রেনে আসন সংরক্ষণের কাউন্টার সংখ্যা মাত্র একটি। রেলশহরের উত্তর দিকের টিকিট কাউন্টারেই রয়েছে কম্পিউটার চালিত আসন সংরক্ষণের ওই কাউন্টারটি। যাত্রীদের দাবি, সেখানেই দু’টি কাউন্টার তৈরি করার পরিকাঠামো রয়েছে। বস্তুত, রেলশহর আদ্রায় ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য আদ্রার রেলকর্মীরা ছাড়াও পাশের কাশীপুর, পাড়া, রঘুনাথপুর ১ ও ২ ব্লক এবং রঘুনাথপুর শহরের বাসিন্দারা। ফলে আসন সংরক্ষণের কাউন্টারে প্রায় সময় ভিড় লেগে থাকে। সমস্যা আরও বাড়ে বছরে উৎসবের সময়-সহ বিভিন্ন ছুটিতে। গ্রীষ্মকালে, পুজোর সময়ে বা শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার রেলের টিকিট কাটার সময় লম্বা লাইন পড়ে কাউন্টারে। সেই সময় এমনও হয়েছে, সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে সংরক্ষিত আসনের টিকিট পেতে বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে। আর ওই প্রেক্ষিতেই উত্তর দিকে টিকিট কাউন্টারে আসন সংরক্ষণের কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। দক্ষিণ দিকের টিকিট কাউন্টারেও আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করার দাবি উঠেছে। রেলকর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়নের নেতা গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আদ্রায় গত কয়েক বছরে সামগ্রিক ভাবে দূর পাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন আদ্রায় দাঁড়াচ্ছে। ফলে রেলকর্মী ও যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা দিতে আসন সংরক্ষণের কাউন্টার বাড়ানো দরকার।” অপর কর্মী সংগঠন মেনস কংগ্রেসের নেতা সুব্রত দে’র অভিযোগ, “রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজও তা হল না।” তাঁর দাবি, “রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মী সংগঠনের বিশেষ সভাতেও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। পরে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিলেন আসন সংরক্ষণের কাউন্টার বাড়ানো হবে। তা আর হল কই?” আদ্রার ডি আর এম অমিতকুমার হালদার বলেন, “ঘণ্টায় গড়ে ২০টি টিকিট বিক্রি হলে তবেই অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলা যায়। ছুটি বা উৎসবের সময়গুলিতে ভিড় হলেও বছরের বাকি সময়গুলিতে ওই একটি কাউন্টার থেকেই যাত্রীরা স্বছন্দে টিকিট সংরক্ষণ করতে পারেন।” ডি আর এম জানান, ইতিমধ্যেই জয়চণ্ডীপাহাড় স্টেশনে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই রুকনি স্টেশনেও তা শুরু করা হবে। ফলে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যেমন আদ্রার চাপ কমবে, যাত্রীরাও ঘরের কাছে আসন সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। |