নববর্ষে বহরমপুরের একটি হোটেলে খাদ্য রসিকদের জন্য এই বিশেষ আয়োজনে সাড়া মিলেছে ভালই।
কিন্তু খেতে কী রকম? ইন্দ্রপ্রস্থের বাসিন্দা রুদ্রনীল ঘোষাল খেয়ে বেশ মুগ্ধ। আইনের ছাত্র রুদ্রনীল বলেন, “অনেকটা গলদা চিংড়ির মতো খেতে। হাড় নেই। কখনও কখনও আবার মুরগির মতোই খেতে লাগে।” দাম ১২৫ টাকা প্লেট। তাতেই মিলছে এক খণ্ড অক্টোপাস এবং এক খণ্ড স্কুইড। স্ন্যাক্স হিসেবে বা যে কোনও চিনা খাবারের সঙ্গে তা পরিবেশন করা হয়েছে।
যিনি রান্না করেছেন, সেই শৈবাল রায় বলেন, “প্রথমে সেদ্ধ করে নেওয়া হয় অক্টোপাস বা স্কুইডের মাংসখণ্ড। তারপর বিশেষ ধরনের সস গরম করে তার উপরে সেদ্ধ অক্টোপাস আর স্কুইডের টুকরো ফেলে দেওয়া হয়। তবে সাবধানে করতে হয়। যাতে মাংসের গা না পুড়ে যায়। কারণ আমরা চাই অক্টোপাস বা স্কুইডের মাংসের মূল স্বাদটা যেন নষ্ট না হয়।”
বিশ্বকাপের সময় জার্মানির সেই অক্টোপাস পলকে অনেকে রাগ করে রান্না করে খাবে বলেছিল। পল মারা গিয়েছে। রুদ্রনীলের কথায়, “তখন থেকেই ভাবতাম, অক্টোপাস খেতে কেমন হবে? কিন্তু বহরমপুরে বসে অক্টোপাস বা স্কুইড খেতে পারব, তা ভাবতেও পারিনি।” তবে অক্টোপাস শুনেই অনেকে ইচ্ছে থাকলেও খাচ্ছেন না, এমনও হচ্ছে। |
এ ছাড়াও নববর্ষে বহরমপুরের পাওয়া যাচ্ছে বিখ্যাত চেলো কাবাব, প্লেট প্রতি ২৫০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে ওয়াইন চকোলেট। প্যাকেটে ৫টি থাকবে, দাম পড়বে ১০০ টাকা। স্পেশাল হিসেবে রয়েছে গুমা ফ্রায়েড চিকেন ৩৫০ টাকা, স্টাফড্ কাবাব ২৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা চার জন খেতে পারবেন। স্পেশাল মোমোর দাম ৫০ টাকা।
তবে ভোজনরসিকেরা যতই খুশি হোন, পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী হোটেলের ঘর ভাড়া যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে গাড়ি ভাড়াও। একটি হোটেলের মালিক চন্দন সরকার বলেন, “বছরের অন্য সময়ে সাধারণ ঘরের ভাড়া ৪৭৫ টাকা। পর্যটন মরসুমে তা বাড়ানো হয়নি। তবে ওই ঘর ভাড়ার সঙ্গে দু’জনের জন্য সকালের জলখাবার ও লাঞ্চ বা ডিনার যে কোনও একটা খাবার ধরে দাম করা হয়েছে ৮৭৫ টাকা। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের ভাড়া ৮৫০ টাকা।” একটি হোটেলের মালিক বলেন, “পর্যটকদের দাবি মেনে বর্ষশুরুর দিন স্পেশাল মেনু হিসেবে ইলিশ, আলু পোস্ত, পোস্ত বড়া, সরষে পাবদা খাওয়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে আফগানি কাবাব, রেশমি কাবাব, ফিস রসুনি কাবাব।”
ইন্দ্রপ্রস্থের এক রেস্তোরাঁয় স্পেশাল মুর্গ্ মুসল্লম্-এর বন্দোবস্ত ছিল। দাম ২৫০ টাকা। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে থাই রান্নাও। |