|
|
|
|
ঝাড়গ্রামে শুরু ‘রঙ-মাটি-মানুষ’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
শান্তি ফিরেছে। তাই ধীরে ধীরে বিভিন্ন বার্ষিক উৎসব, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছন্দে ফিরছে জঙ্গলমহল।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই যেমন শুরু হয়েছে ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির ছবি ও কারুকলা বিষয়ক বার্ষিক প্রদর্শনী ও মেলা‘রঙ-মাটি-মানুষ’। ২৩ তম বর্ষের এই প্রদর্শনী ও মেলা চলবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ বার মেলার বিষয় ‘প্রকৃতি আমাদের মা’। আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মিত্র বলেন, “প্রকৃতি-বিমুখতাই মানব-জীবনে ধ্বংস ডেকে আনছে। প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আর্তিই আমাদের উৎসবের মূল সুর।” এ দিন সকালে ঝাড়গ্রাম শহরে বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরিতে যোগ দেন হাজার খানেক শিল্পপ্রেমী মানুষ। বিকেলে শহরের ঘোড়াধরায় আর্ট অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে অশীতিপর মৃৎশিল্পী পারুলবালা পালকে সংবর্ধনা জানিয়ে প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধন হয়। |
|
প্রদর্শনীর ছবি তুলেছেন দেবরাজ ঘোষ। |
জামবনির বেলিয়া গ্রামের পারুলবালাদেবী এখনও মাটির টেপা পুতুল তৈরি করেন। বাংলার প্রাচীন এই টেপাপুতুল এখন অবশ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। এ দিন আর্ট অ্যাকাডেমির তরফে পারুলবালাদেবীর হাতে নগদ টাকা ও উপহার তুলে দেন পাঁচ প্রবীণা শিল্পপ্রেমী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর তাপস কর রায়, কবি শুভ দাশগুপ্ত, নাট্যকার সংগ্রামজিৎ সেনগুপ্ত। সংস্থার রামকিঙ্কর গ্যালারিতে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে এ বার স্থান পেয়েছে সংস্থার শিক্ষার্থীদের আঁকা সাতশোটি ছবি এবং কুড়িটি ভাস্কর্য। এ ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে আছে কারুশিল্পের নানা স্টল। উৎসব চলাকালীন প্রতি সন্ধ্যায় থাকছে ‘সেলিব্রিটি আড্ডা’। শিল্প, সাহিত্য ও সিনেমার ব্যক্তিত্বেরা যোগ দেবেন সেই আড্ডায়।
এ ছাড়া উৎসব উপলক্ষে প্রতিদিন দুপুরে থাকছে নানা কর্মশালার আয়োজন। সোমবার গান, মঙ্গলবার পটের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেবেন পিংলার পটুয়া-শিল্পীরা। বুধবার থাকছে আবৃত্তি-কর্মশালা। বৃহস্পতিবার কাগজ কেটে খেলনা তৈরি, শুক্রবার ক্যালেন্ডার তৈরি এবং শনিবার বাতিল জিনিস দিয়ে খেলনা তৈরির কর্মশালা হবে। ৭ জানুয়ারি সমাপ্তি-সন্ধ্যায় অভিনব রান্না-উৎসবে যোগ দেবেন শতাধিক গৃহিনী। |
|
|
|
|
|