উন্নয়নের কাজ শুরু খানাকুলের পঞ্চায়েতে |
নিজস্ব সংবাদাতা • খানাকুল |
তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রধান ও উপপ্রধান সহ ১৮ জন সদস্যই অফিসে আসছিলেন না। গত ছ’মাস ধরে সমস্ত রকম উন্নয়নের কাজ বন্ধ ছিল খানাকুল ১ ব্লকের ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতে। বৃহস্পতিবার বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদের হস্তক্ষেপে ফের চালু হয়েছে পঞ্চায়েত।
ওই দিন বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রধান গণেশ মিদ্যা এবং উপপ্রধান স্বদেশ চৌহানকে নিয়ে পঞ্চায়েত দফতরে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন বিধায়কের প্রতিনিধি ও খানাকুলের তৃণমূল নেতা শেখ নয়ন। বিডিও বলেন, “বিভিন্ন গ্রামোন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত এলাকায় এ দিনই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠাকুরানিচক গ্রামের পশ্চিম ঠাকুরানিচক, পুরনো ঠাকুরানিচক এবং গ্রামের মাঝখানে ৩টি এলাকায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এ দিন ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করেছেন।” অন্যান্য প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ৭ জানুয়ারি বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, “পঞ্চায়েতের উপর কারও কোনও খবরদারি বরদাস্ত করা হবে না। গ্রামের উন্নয়নে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে বলে দলেও কড়া নির্দেশ দিয়েছি। কোনও অনিয়মের অভিযোগ থাকলে প্রশাসনকে বলে সমাধানের রাস্তা খুঁজতে হবে।” অন্য দিকে, পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “আমি তো কাজ করব বলেই অনেক হেনস্থ সহ্য করে অফিস আসছিলাম। নদীতে চাল ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলে মারধর করে আমাকেও জুলাই মাস নাগাদ ঘরছাড়া করা হয়েছিল। আশা করি আর ব্যাঘাত ঘটবে না।” উপপ্রধান স্বদেশ চৌহান আবার বিধানসভায় ফল প্রকাশের রাত থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন। তিনি বলেন, “সকলকে নিয়ে কাজ করতে আমাদের অসুবিধা নেই। তৃণমূলের কিছু ছেলের হঠকারিতার জন্য পঞ্চায়েত অনেক পিছিয়ে গেল।”
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অগস্ট খানাকুলে সিপিএম এর জোনাল অফিসে ঢুকে তৃণমূল হামলা করে বলে অভিযোগ। সেখানে প্রহৃত হন প্রধান এবং উপপ্রধান। পঞ্চায়েতের কাজ শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মাইনান এবং ঠাকুরানিচক গ্রামের বাসিন্দা রতন রায়, নিমাই মিদ্যা প্রমুখ। যদিও কত দিন পরিস্থিতি এমন থাকবে, তা নিয়ে আশঙ্কাতেও ভুগছেন রাজনৈতিক অসন্তোষের জেরে এই এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ। |