দূরের জেলার কয়েদিদের আর আদালতে হাজিরা দিতে সদর আদালত বা গুয়াহাটি অবধি পাড়ি দিতে হবে না। অল্প দিনের মধ্যে আদালতই পৌঁছে যাবে কারাকক্ষে। ভিডিও কনফারেন্স প্রযুক্তির সহায়তায়। অসমের কারা এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী অকণ বরা জানিয়েছেন, দূরের বিচারাধীন বন্দিদের গুয়াহাটি অবধি আনা-নেওয়ার ঝুঁকিও ঝক্কি এড়াতে জেলা কারাগারগুলিতে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা হবে। সেই সঙ্গে, বাড়তে থাকা অপরাধীদের জায়গা দিতে, এ বার রাজ্যর চারটি কারাগার দ্বিতল করা হচ্ছে।
আজ যোরহাটে কারামন্ত্রী বলেন, “দূর থেকে বন্দিদের জেলা সদরের কারাগার বা গুয়াহাটি অবধি আনাতে যেমন অনেক নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন, তেমনই, তাদের নিয়ে এতটা পথ আনা-নেওয়ার ঝুঁকিও থাকে অনেক। তাই, আপাতত রাজ্যের চারটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও আদালত কক্ষে ক্যামেরা ও পর্দা বসিয়ে, ‘লাইভ’ বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে, চারটি কারাগারে এই ব্যাপারে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা আদালতেও চলছে ‘ভিডিও এজলাস’ গড়ার প্রস্তুতি। আগামী দুই মাসের মধ্যেই ‘ভিডিও বিচার’-এর কাজ শুরু হয়ে যাবে। গুয়াহাটি, যোরহাট, ডিব্রুগড় ও ধুবুরি কেন্দ্রীয় কারাগারে এই ব্যবস্থা যদি কার্যকরী হয়ে যায়, বাকি ২৮টি কারাগারেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। এই প্রকল্পে আপাতত ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
রাজ্যের কারাগারগুলিতে ‘হাই প্রোফাইল’ কয়েদিদের বসত। তাঁদের একেক জনকে আদালতে আনতে বিস্তর খরচ হয়। প্রায় ভিআইপি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয় জেল প্রশাসনকে। কারা বিভাগের মতে, ভিআইপি আসামি ও দাগি কয়েদিরা যদি নিজেদের কারাকক্ষে বসেই বিচারকের মুখোমুখি হতে পারে, তা হলে, সেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কারাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থার পাশাপাশি, কারাগারগুলির নিরাপত্তা কড়া করতে, জেলে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা ও টিভিও বসানো হবে। আপাতত চারটি কেন্দ্রীয় কারাগারেই, পরীক্ষামূলকভাবে সিসি টিভি ও ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। রাজ্যে অপরাধ যেমন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে, বন্দির সংখ্যাও বর্ধমান। কিন্তু, করিমগঞ্জ, শিবসাগর, ধুবুরি ও মঙ্গলদই কারাগারে ঘর বাড়ন্ত। বন্দিদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে, কারাগারগুলি দ্বিতল করার পরিকল্পনা নিয়েছে কারা দফতর। |