যুবকটির বাড়ি সল্টলেকের করুণাময়ীতে। আর তাঁর দেহ পাওয়া গেল প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি অভিজাত বহুতল আবাসনের চত্বরে। রবিবার ওই যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কৌশিক দত্ত (৩৫)। এ দিন ভোরে ওই আবাসন-চত্বর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। উপর থেকে পড়ে কৌশিকবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশি সূত্রের খবর, কৌশিকবাবু সল্টলেকের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়ায় থাকতেন। মায়ের শরীর খারাপ বলে গত জুলাইয়ে তিনি কলকাতায় আসেন।
কৌশিক দত্ত |
শনিবার সকালে কৌশিকবাবু সল্টলেকের বাড়ি থেকে ওই আবাসনের ৩১তলায় এক বান্ধবীর ফ্ল্যাটে যান।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কৌশিকবাবু শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। মৃতের পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক জন আত্মীয়-সহ নিজের প্রবাসী বোনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি। পুলিশের দাবি, রাত দেড়টা নাগাদ কৌশিকবাবু তাঁর মাকে ফের ফোন করে জানান যে, তিনি রবিবার সকালে বাড়ি ফিরবেন। কৌশিকবাবুর মা অণিমা দত্ত বলেন, “আমার ছেলে কোনও দিন রাতে বাড়ির বাইরে থাকত না। ওই রাতে কী হয়েছে, বুঝতে পারছি না।”
এ দিন ভোরে ওই আবাসনে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে যাদবপুর থানায় ফোন যায়। পুলিশ গিয়ে দেখে, রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে আছেন কৌশিকবাবু। মাথা ও মুখ থেঁতলে গিয়েছে। কৌশিকবাবুকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানান তদন্তকারীরা।
কৌশিকবাবুর এক জন বান্ধবী ওই আবাসনের ৩১তলার বাসিন্দা। ওই বান্ধবী এবং আবাসনের ই অন্য কয়েক জন বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। পুলিশের অনুমান, ৩১তলা থেকে পড়ে যান কৌশিকবাবু।
কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিছকই দুর্ঘটনা না অন্য কিছু, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ময়না-তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে তারা। রবিবার রাত পর্যন্ত এই মৃত্যুর ঘটনায় নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। |