প্রতি বছরের এ বারও রাখাল ভোজন উৎসবে মাতল লাভপুরের হরিপুর গ্রাম। কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণ ১৬ পৌষ গোকুলে রাখালদের নিয়ে চড়ুইভাতি করেছিলেন। সেই ধারা অনুসরণ করে গত ১৪ বছর ধরে ১৬ পৌষ রাখাল ভোজনের আয়োজন করে আসছে হরিপুর কল্পতরু আশ্রম কমিটি। মূলত এলাকার রাখাল বালকেরা এতে সামিল হয়। রাখাল ভোজন হলেও এতে জাতপাত নির্বিশেষে সকলে সামিল হন। স্থানীয় কৈচড়া গ্রামের বাবন ঘোষ, বাঘা গ্রামের তারক বাগদিদের কথায়, “প্রতি বছর এই দিনটিতে আমরা গরু চরিয়ে চলে আসি কল্পতরু আশ্রমে। বনভোজন করার মতো আর্থিক সঙ্গতি আমাদের নেই। রাখাল ভোজন উৎসবে আমরা বনভোজন বা চড়ুইভাতির আনন্দ খুঁজে পাই।” |
শুধু রাখাল বালকই নয়, এই উৎসবে সামিল হয়েছেন চতুর্ভুজপুরের গৃহবধূ ভারতী ঘোষ, জয়চন্দ্রপুরের ছবি ভৌমিকেরা। তাঁরা বলেন, “একদিন সকলের সঙ্গে খাওয়ার তৃপ্তিটাই আলাদা। এই দিন আমাদের হেঁসেলে ঢুকতে হয় না।” অন্যতম উদ্যোক্তা শ্রীকান্ত মণ্ডল, সন্দীপ পালরা বলেন, “শ্রীকৃষ্ণ এই দিনটিতে রাখালবন্ধুদের নিয়ে মাঠে চড়ুইভাতির আয়োজন করেছিলেন। সেই ধারা অনুসরণ করে আমরা গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে ১৪ বছর ধরে রাখাল ভোজন উৎসব করছি।” |