বর্ধমানে ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক চাষির। মেমারির রাজপুর গ্রামের বাসিন্দা অমিয় সাহা (৪৫) শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রবিবার সকালে নিজের আলু খেতের পাশেই তাঁর দেহ মেলে। পরিবারের লোকজনের দাবি, ধান ও আলু চাষে বিপর্যয়ের জন্য তিনি কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনার দাবি, চাষে বিপর্যয় মৃত্যুর কারণ নয়। ওই চাষির কিডনির অসুখ ছিল। তাই মানসিক অবসাদে ভুগে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এই নিয়ে গত তিন মাসে বর্ধমানে ৪ জন চাষি আত্মঘাতী হলেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অমিয়বাবুর প্রায় দশ বিঘা জমি রয়েছে। বিক্রি না হওয়ায় ৩০০ বস্তা ধান জমে রয়েছে বাড়িতে। আট বিঘা জমিতে আলু চাষও করেন তিনি। তারও ফলন ভাল হয়নি বলে বাড়ির লোকজনের দাবি। মৃতের দাদা অশোক সাহার দাবি, “চাষে বিপর্যয়ের জেরে মহাজনের কাছে ঋণ হয়েছিল। শোধ করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে ভাই আত্মঘাতী হয়েছে।” অমিয়বাবুর স্ত্রী ঝর্নাদেবী বলেন, “চাষের জন্য দেনায় জড়িয়ে পড়ে ওঁর মাথার ঠিক ছিল না।” বর্ধমানের জেলাশাসক জানান, ব্লক প্রশাসনের পাঠানো প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিলেন অমিয়বাবু। তাই তিনি আত্মঘাতী হন। অশোকবাবু জানান, কিডনি নয়, হৃদযন্ত্রের অসুখে ভুগছিলেন তাঁর ভাই। বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা হচ্ছিল। এর জন্য যে ভাইয়ের প্রচুর দেনা হয়েছিল, সে কথাও বলেছেন অশোকবাবু।
|
কৃষ্ণসায়র উৎসব ২০১২ শুরু হচ্ছে ১১ জানুয়ারি থেকে। তা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই উৎসবের জন্য তৈরি হয়েছে একটি নতুন কমিটি। যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ও সীতারাম মুখোপাধ্যায়। কৃষ্ণসায়র অছি পরিষদের সম্পাদক পদ থেকে কলা বিভাগের ডিন অরুপ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করায় অছি পরিষদের চেয়ারম্যান তথা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁ নতুন সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করেন এস্টেট অফিসার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়কে। তিনিই উৎসব কমিটির সম্পাদক। |