একটি সাহিত্য পত্রিকা আয়োজিত সাহিত্য মেলার সূচনা হল রবিবার। আসানসোল রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে। উদ্বোধন করেন আসানসোলের এক দুঃস্থ কলেজছাত্রী জবা রুইদাস। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলায় সময় কাটান বার্নপুর ঢাকেশ্বরী বৃদ্ধাবাসের ২০ জন আবাসিককেও। মেলা উপলক্ষে আয়োজিত হয় চক্ষুপরীক্ষা শিবিরও। |
এ দিন সকালে সেন্ট ভিনসেন্ট স্কুলের সামনে থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা। শেষ হয় রবীন্দ্রভবনে। সারাদিন ধরেই আয়োজন করা হয় গান, স্বরচিত কবিতা, নৃত্য-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। প্রত্যেক শিল্পীকে আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে একটি করে গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। মেলার ‘রেড কার্পেট’ স্টলটি উৎসর্গ করা হয় ওই পত্রিকার প্রয়াত সম্পাদক গীতাময় রায়ের নামে। এছাড়াও ওই স্টলে রাখা হয়েছে প্রয়াত কবি তারক সেন, চণ্ডীচরণ মুখোপাধ্যায়, ভোলানাথ ভট্টাচার্য, সত্যসাধন রায় ও অমরেশ বিশ্বাসের ছবি ও পরিচিতি। এ দিন ওই পাঁচ কবিকে নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্রের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন কবি তারক সেনের স্ত্রী অঞ্জলীদেবী।
ঢাকেশ্বরী বৃদ্ধাবাসের আবাসিক ছবি মজুমদার, রেনুকা মুখোপাধ্যায়দের কথায়, “আমাদের জীবন ছন্নছাড়া। নিজের বলতেও তেমন কেউ নেই। তবে আয়োজকেরা আমাদের এখানে নিয়ে আসায় খুব ভাল লাগছে। আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।” আয়োজক সংস্থার পক্ষে সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রবীণ সাহিত্যিকদের প্রতিভার সঙ্গে নবীনদের পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।” |