নতুন বছরের প্রথম দিনটি রবিবার। সকালে ঘুম থেকে ওঠার তাড়া নেই। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাই বাঁধভাঙা আনন্দে মেতেছেন আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের মানুষ। বিভিন্ন ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। গভীর রাত পর্যন্ত সে সব অনুষ্ঠান চলে। ১২টা বাজতেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে জায়গায় জায়গায় জ্বালানো হয় আতসবাজি।
শিল্পাঞ্চল জুড়ে উৎসবের আমেজ অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল ২৫ ডিসেম্বর থেকেই। সে দিনই এলাকার পার্কগুলিতে মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছিল। চার্চগুলি সেজে উঠেছিল আলোর মালায়। বছরের শেষ দিনেও তার ব্যতিক্রম হল না।
শনিবার সকাল থেকেই শহরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। ভিড় বাড়তে থাকে পার্কগুলিতে। সন্ধ্যায় শহর সেজে ওঠে রঙিন আলোয়। শহরের বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবে ছিল বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। রাত যত বেড়েছে, আমেজের পারদ চড়েছে তত। একাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁয় বর্ষবরণ ও বিদায়ের ভরপুর আয়োজন রাখা হয়েছিল। চুটিয়ে আনন্দ করতে সেখানেও হাজির ছিলেন অনেকে। |
শনিবার রাত করে ঘুমোলেও বছরের প্রথম দিনে ঘুম ভাঙতে বিশেষ দেরি হয়নি বাসিন্দাদের। সকাল থেকেই ভ্রমণার্থীদের ভিড় ছিল মাইথনে। রাজ্যের অন্যান্য প্রাম্ত থেকেও এসেছিলেন অনেকে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ও আসানসোল পুলিশের হিসাব মতো, ভিড় ছিল এক লক্ষের কাছাকাছি। এ বার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট হওয়ায় মাইথন-সহ শহরের সবক’টি ভ্রমণকেন্দ্রে ছিল বাড়তি পুলিশি নজররদারি। সিদাবাড়ি, বাথানবাড়ি, চিত্তরঞ্জন এলাকায় ভ্রমণকেন্দ্রগুলিতেও বহু মানুষের সমাগম চোখে পড়েছে। বার্নপুরের নেহরু পার্কে রবিবার সকাল থেকেই বনভোজনের আসর বসে।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার বা ইস্পাত নগরীর কুমারমঙ্গলম পার্ক-দু’জায়গাতেই এ দিন দুপুর থেকে ভিড় ছিল দেখার মতো। টয় ট্রেন, ওয়াটার বল, রোপওয়ে ছাড়াও বিভিন্ন রাইডে মেতে উঠেছিলেন ভ্রমণার্থীরা। কাঁকসার দেউল পার্ক বা আউশগ্রামের ভাল্কি মাচানের অতিথিশালায় জায়গা ফাঁকা ছিল না। দু’দিনই দিনভর বনভোজন হয়েছে। ভাল্কি মাচানে স্থানীয় আদিবাসীদের নিয়ে রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। জেলা, ভিন জেলা এমনকী ভিন রাজ্য থেকেও মানুষজন এসেছিলেন। দুর্গাপুর সংলগ্ন নাচন পার্কেও ভিড় ছিল বেশ।
সব মিলিয়ে নতুন বছর জমিয়ে দিল উইক-এন্ড। |