|
|
|
|
ডাকঘর |
পর্যটন মেলা: পলাশি যুদ্ধের ইতিহাসও দেখানো হোক আলো-ধ্বনিতে |
পর্যটন শিল্পের জয়প্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। তবুও অন্য অনেক রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন বিভাগ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ওই প্রেক্ষিত মাথায় রেখে মুর্শিদাবাদের পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ করে তুলতে জেলা পর্যটন উৎসবে কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করছি। প্রয়াত বরেণ্য শিল্পী তাপস সেনের নির্দেশনায় আগ্রা দুর্গ ও দিল্লির লালকেল্লায় ‘ধ্বনি ও আলো’র অসামান্য প্রয়োগে মুঘল যুগের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের কিছু অধ্যায় যে ভাবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এক ঘণ্টার অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত হয়, তা বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের সমাগম ঘটায়। উর্দু ও ইংরাজি ভাষায় সমগ্র অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা, ধারাভাষ্য ও উপস্থাপনা বড়ই উপভোগ্য ও রোমাঞ্চকর। ওই অনুষ্ঠানের প্রতিটি উপাদানই মুর্শিদাবাদে রয়েছে। একই আদলে মুর্শিদকুলি খাঁর রাজত্বকাল থেকে পলাশির ষড়যন্ত্র পর্যন্ত (১৭০৩-১৭৫৭) সময়কালের মুর্শিদাবাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বৈশিষ্টগুলিকে ‘আলো ও ধ্বনি’র প্রয়োগে পর্যটকদের সামনে উপস্থাপিত করতে পারলে জেলার পযর্টন শিল্প অসামান্য রূপলাভ করবে। এক ঘণ্টার ওই সান্ধ্য অনুষ্ঠানের গ্রন্থনায় হাজারদুয়ারি, ইমামবাড়া, নিমক-হারাম দেউড়ি, খোসবাগ, মতিঝিল, কাঠগোলার বাগান, জৈন মন্দির, শ্রীপাঠ কুমারপাড়া, নসিপুর, বরানগর, কিরীটেশ্বরী, বেড়া উৎসব ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হবে। যেমনটি আগ্রা দুর্গের অনুষ্ঠানে করা হয়েছে। বাস্তব ও বাণিজ্যিক কারণে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ কাটরা মসজিদের অভ্যন্তরে উন্মুক্ত বিশাল প্রাঙ্গণে করা যেতে পারে। ওই প্রাঙ্গণটি সুউচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত। রাজ্যের পর্যটন দফতর ও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগকে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবনা-চিন্তা করার জন্য অনুরোধ জানাই। ওই অনুষ্ঠানটি করা হলে কেবল পর্যটন শিল্পেরই উন্নতি হবে না, সেই সঙ্গে জাতীয় সংহতি ও সম্প্রীতির বাতাবরণও সমৃদ্ধ হবে। |
বিষাণ গুপ্ত, বহরমপুর। |
|
|
|
|
|