|
|
|
|
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জারি ১৪৪ ধারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘পরিবর্তনের’ পরেও সংঘর্ষ থামছে না কেশপুরে। গত কয়েক দিনে সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ এমন মাত্রায় পৌঁছেছে, যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
মহকুমাশাসক (মেদিনীপুর) সুরজিৎ রায়ের বক্তব্য, “কেশপুরে সংঘর্ষ চলছে। আপাতত ১৫ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে মানুষের কাজে যাতে সমস্যা না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে।” বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী জিতলেও রাজ্যে পালাবদলের জেরে একদা ‘লাল দুর্গ’ কেশপুরে এখন দলীয় কার্যালয় খোলার লোক নেই সিপিএমের। একাধিক মামলায় নাম জড়িয়ে ‘ফেরার’ কয়েক জন সিপিএম নেতা-কর্মী। কেশপুরে এখন তৃণমূলের আধিপত্য। কিন্তু গত ছ’মাসে সংঘর্ষ বেধেছে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে। দ্বন্দ্ব ‘পুরনো’ ও ‘নব্য’ তৃণমূলের মধ্যে। ‘পুরনো’দের অভিযোগ, পালাবদলের পর সিপিএমের বহু নেতা-কর্মী তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। ক্ষমতা হস্তগত করতে চেয়ে গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন তাঁরাই। ‘নব্য’দের পাল্টা অভিযোগ, ‘পুরনো’রা মাতব্বরি করছেন। প্রতিবাদ করলেই ঝামেলা হচ্ছে। |
|
কেশপুরের গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে শুক্রবার দিনভর
চলল পুলিশি টহল। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
গোলমাল চলছিল দোগাছিয়া লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন ঘিরে। তৃণমূলেরই দু’টি গোষ্ঠী অভিভাবক প্রতিনিধির ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। জেতেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি আশিস প্রামাণিকের গোষ্ঠীর লোকেরা। তার পর থেকেই দু’টি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। বুধবার কেশপুর বাজারে আশিসবাবুর অনুগামীদের ‘বিজয় মিছিল’ করার কথা ছিল। ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীর নেতা নেপাল ঘোষদের অভিযোগ, ওই মিছিল থেকে তাঁদের লোকেদের উপরে ‘হামলা’ হয়। উদ্যোক্তাদের দাবি, মিছিলে আসা লোকজনের উপরে ‘আক্রমণ’ করেন বিক্ষুব্ধরা। জখম হন দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন। ৬ জন গ্রেফতার হয়। বৃহস্পতিবার দোগাছিয়ায় ফের সংঘর্ষে ৪ জন জখম হন। গোষ্ঠী-সংঘর্ষের কথা কার্যত মেনে নিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিসবাবু বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি। দলের জেলা ও রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট যাচ্ছে।” |
|
|
|
|
|