পুর-ওয়েভার
অবশেষে সম্মতির সই দিলেন রাজ্যপাল
বশেষে সম্পত্তিকরের পরিমাণ ‘মকুবের’ বিলে সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। কলকাতা পুরসভার কাছে যে সমস্ত সম্পত্তির কর বহু দিন ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে, সেই করের সুদ ও জরিমানা মকুবের এই বিলে বৃহস্পতিবার রাতেই সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। মহাকরণ সূত্রের খবর, জুলাই মাসে বিধানসভায় এই সংশোধনী বিল ‘ওয়েভার স্কিম’ পাশ হওয়ার পরে রাজ্যপালের সম্মতির জন্যই এত দিন ধরে আটকে ছিল। আজ, শুক্রবার সকালে রাজ্যপালের সম্মতি সমেত বিলটি রাজ্য সরকার হাতে পাবে। তার পরে আইন প্রণয়নের পর্ব।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ‘ওয়েভার স্কিম’ সংক্রান্ত এই সংশোধনী বিল বিধানসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। তার বাস্তবতা নিয়ে এর আগে দু’বার প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। ঠিক কী ধরনের মকুব-প্রকল্প তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যপালের কাছে আবার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। ‘ওয়েভার স্কিম’ নিয়ে ফের আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে রাজভবনে ডেকে পাঠান নারায়ণন। মন্ত্রীর সঙ্গে যান দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনার পরে ‘ওয়েভার স্কিম’ আইনে কী ধরনের সংস্থান রয়েছে, পুরমন্ত্রীর কাছে তা বিস্তারিত জানতে চান রাজ্যপাল। মহাকরণ সূত্রে খবর, রাজ্যপালকে মন্ত্রী জানান, রাজ্য ও কলকাতা পুরসভার এখন যা আর্থিক অবস্থা, তাতে এই প্রকল্প চালু করে যতটা সম্ভব বকেয়া টাকা তুলে নিলে আখেরে লাভ হবে সরকারের। তা ছাড়া, এর পরে নয়া ব্যবস্থায় এলাকাভিত্তিক কর নেওয়া চালু হবে।
মহাকরণ সূত্রে খবর, বিল নিয়ে আলোচনায় রাজ্যপাল মূলত দু’টি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এক, এতদিন নিয়ম না মেনে কেউ ছাড় পেলে যাঁরা নিয়ম মেনে এতদিন সম্পত্তিকর জমা দিয়ে এসেছেন, তাঁরা কেন ছাড় পাবেন না? ছাড় পেলে কী ভাবে তাঁদের তা দেওয়া হবে? দুই, ‘ওয়েভার স্কিম’ চালু হওয়ার পরেও যদি কেউ বকেয়া কর জমা না দেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেবে পুরসভা? প্রধানত এই দু’টি বিষয় নিয়ে আইনে কোনও সংস্থান আছে কি না, থাকলে কী ধরনের, তা জানতে চান রাজ্যপাল।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই স্কিমে পুর এলাকায় যাঁদের এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত সম্পত্তিকর বকেয়া রয়েছে, তাঁদের সুদ ও জরিমানা পুরোপুরি মকুব করে দেওয়া হবে। এ রকম বেশ কয়েকটি ধাপ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন ধরনের ছাড় মিলবে। তবে কোনও অবস্থাতেই বকেয়া করের মোট অঙ্ক কমবে না। সুদ ও জরিমানায় ছাড় দিলে সম্পত্তির মালিকদের কাছ থেকে একলপ্তে বকেয়া কর আদায় করা যাবে, এমনই লক্ষ্যে এই প্রকল্প। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে সম্পত্তিকর এবং বকেয়া করের সুদ ও জরিমানা মিলিয়ে প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র হওয়ার পরে ২০০২ সাল নাগাদ এক বার এই স্কিম চালু করেন। তখন বকেয়া ছিল ১৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু তখন সুদ ও জরিমানা মকুব করেও দু’দফায় মাত্র ৩০০ কোটি টাকার মতো তুলতে সক্ষম হয়েছিল পুরসভা। ফলে এই ‘ওয়েভার স্কিম’ চালু হলেও তা এ বার পুরসভাকে কতটা সাহায্য করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.