টুকরো খবর |
সরঞ্জাম নেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
|
বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল। ছবি অমিত মোহান্ত। |
তিনতলা ভবনটি রং করা হয়েছে। দেওয়ালে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের ছবি। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরে আসার কথা। তাই রোজ নিয়মিত ঘর-বারান্দা পরিস্কার হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের এমনই ঝাঁ চকচকে চেহারার আড়ালে লুকিয়ে আছে বিপদের হাতছানি। হাসপাতালের দোতালা ও তিনতলায় থাকা বার্ন ইউনিট, টেলি মেডিসিন ও কম্পিউটারের ঘর তো বটেই, পুরুষ, মহিলা, শিশু বিভাগ-সহ কোনও ওয়ার্ডেই অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা নেই। অথচ ৩২৬ শয্যার এই জেলা হাসপাতালে সবসময় প্রায় ৪০০ রোগী ভর্তি থাকেন। প্রসূতি ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে থাকতে হয় মা ও শিশুদের। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত মন্ডলের বক্তব্য, “হাসপাতাল কখনই নার্সিংহোমের মতো নয়। অনেকটা খোলামেলা। তবে অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।” দমকলের জেলা দফতরের আধিকারিক সুবল মন্ডল বলেন, “এতবড় একটা হাসপাতালে আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলব।” হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন, “শিশুদের সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট তৈরির অনুমোদন পেয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইউনিটে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার জন্য দমকলকে সমীক্ষার জন্য বলা হয়েছে।” কিন্তু বার্ন ইউনিট, অপারেশন রুম, কম্পিউটার রুমের মত একাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের সুরক্ষায় কেন আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই- তার সদুত্তর মেলেনি স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে এই জেলায় বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর শহরে যে গুটিচারেক ছোট নার্সিংহোম আাছে, সেগুলি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে চলে। এদিন বিকেলে হাসপাতালের তিনতলা ভবন ঘুরে দেখা যায় আগুন নেভানোর ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা নেই। কোনও বিভাগের দেওয়ালের সামনেও চোখে পড়েনি জরুরি ব্যবস্থার জন্য ছোট গ্যাস সিলিন্ডার। হাসপাতাল চত্বরে নেই জলাশয়। শিশু ও প্রসূতি ওয়ার্ডের ছোট ঘরে গাদাগাদি করে থাকা রোগীদের পাশাপাশি কম্পিউটার রুম এবং নিচতালায় রেকর্ড বিভাগে থাকা কাগজের স্তূপ। বারান্দায় ঝুলে থাকা তার থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থেকেই যায়।
|
আশঙ্কায় স্বাস্থ্যকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
|
কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতাল। ছবি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
কারমাইকেল ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে আধভাঙা মেন সুইচ। সাদা, লাল, নীল, হলুদ রকমারি জোড়াতালি দেওয়া তার খোলামেলা অবস্থায় পড়ে আছে। কারমাইকেল ওয়ার্ড থেকে মেডিক্যাল ওয়ার্ডে যাতায়াতের বারান্দায় সুইচ বোর্ডের একাংশ ভেঙে রয়েছে। সুইচের জায়গায় লাল তার বার হয়ে আছে। মেডিক্যাল ওয়ার্ডের বারান্দায় বেহাল ওয়্যারিং। বাইরে বার হয়ে থাকা তার কোনও মতে সুইচ বোর্ডে জুড়ে রাখা হয়েছে। কোচবিহার জেলা সদর তথা এমজেএন হাসপাতালে গেলেই এমন দৃশ্য দেখা যাবে। প্রতি পদে শর্ট সার্কিটের বিপদের আশঙ্কা করেন কর্মীরাও। হাসপাতালের সুপার কল্যাণ দে বলেন, “হাসপাতালের ওয়্যারিং পুরনো হয়েছে। মাঝেমধ্যে তাপ্পি দিয়ে মেরামতের কাজ হচ্ছে। বহু জায়গায় তার খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। তাই শর্টসার্কিটের দুশ্চিন্তা তো আছেই।” কোচবিহার জেলা হাসপাতালে গড়ে ৪০০ রোগী ভর্তি থাকেন। স্বাস্থ্য কর্মী, রোগীর আত্মীয় মিলে ১ হাজারের বেশি মানুষ রোজ সেখানে ভিড় করেন। কিন্তু তার পরেও পুরনো দিনের ওয়্যারিং খুলে নতুন করা হয়নি। এক বছর আগে হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ পরিকাঠামো গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজ হয়নি। শুধু জেলা হাসপাতাল নয়। তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ হাসপাতালেও অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা বলে কিছুই নেই। তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ‘লুজ কানেকশনের’ সমস্যা দীর্ঘদিনের। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে দু’বছর আগে স্টোর রুমে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। শর্টসার্কিট থেকে ওই ঘটনা ঘটার সন্দেহ থাকলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানিক দাস বলেন, “অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে এক বছর আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ পাঠায়। টাকার অভাবে কাজ এগোয়নি।” বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিং হোমগুলিরও বেশির ভাগের দমকলের ছাড়পত্র নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
|
পরিকাঠামো নেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
দমকল বিভাগের নিয়ম না মেনে আলিপুর দুয়ার শহরে চলছে নার্সিংহোম ও হাসপাতাল। শুক্রবার বেসরকারি হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জেরে শহরের ৩টি নার্সিংহোম ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতালে আগুন নেভানোর কী ব্যবস্থা রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। দমকল বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পদক্ষেপ করবেন। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার শহরের তিনটি নার্সিংহোম, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাসপাতাল ও আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেল অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না দমকল বিভাগের নির্দেশ। শিলিগুড়ির ‘ফায়ার প্রিভেনশন অফিসার’ প্রদীপ সরকার জানান, মাত্র দুটি নার্সিংহোম নিয়ম মেনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার জন্য আবেদন করেছে। প্রদীপবাবু বলেন, “নার্সিংহোম বা হাসপাতালগুলিতে প্রাথমিক ভাবে ঢোকা বা বার হওয়ার জন্য দুটি সিড়ি, আন্ডারগ্রাউন্ড জলের ট্যাঙ্ক ও ছাদে জলের ট্যাঙ্ক রাখার নিয়ম। প্রতি তলায় দমকল বিভাগের নিয়ম মেনে হোস, এবং জলের পাইপ থাকা প্রয়োজন। তা ছাড়া ফায়ার অ্যার্লাম জরুরি।” এদিন সকালে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হবার পর দমকল কর্মীরা শহরের কয়েকটি নার্সিংহোমের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেন, “হাসপাতালে ২৫০টি শয্যা রয়েছে। নিয়ম মেনে আগুন নেভাতে জন্য যা পরিকাঠামো থাকা দরকার তা নেই। বিষয়টি নিয়ে দমকল বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।”
|
‘সাজ’ নেই মেডিক্যালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ন্যূনতম অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেশির ভাগ ওয়ার্ডে। যে কটি ওয়ার্ডে রয়েছে সেখানেও আগুন নেভানোর সরঞ্জাম বহু পুরানো। তা এখন কাজ করবে কি না সেটা নিয়ে কর্মীরাই সংশয়ে রয়েছেন। স্টাফ কোয়ার্টার বা ছাত্রছাত্রীদের হস্টেলেও আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “কয়েকটি ওয়ার্ডে যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে সেটা পুরানো। এদিনই দমকলকে হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।” শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রদীপ সরকার। তবে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের কেউই অগ্নিনির্বাপণের সরঞ্জাম ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না-হওয়ায় সমস্যা রয়েছে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। হাসপাতালের তরফে দমকল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সে সব ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় কোথায়, কী খামতি রয়েছে তা পরিদর্শন করে জানাতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ওয়ার্ডে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে বলা হলেও কর্মী আবাসনগুলিতে তেমন কোনও ব্যবস্থাই নেই। বড় বিপদ হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে।
|
আমরিতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ত্রিপুরার ৬ জন রোগী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
কলকাতার আমরি হাসপাতালে প্রলয়ঙ্কর আগুনের আঁচ থেকে রেহাই মিলল না ত্রিপুরারও। সেখানে ভর্তি ছিলেন ত্রিপুরার ১৮ জন। মারা গিয়েছেন তাঁদের ৬ জন। মৃতেরা হলেন--আগরতলা ধলেশ্বরের বাসিন্দা শম্পা দাসচৌধুরী, বনমালীপুরের অসিত চক্রবর্তী, দক্ষিণ ত্রিপুরা বিলোনিয়ার শান্তিরবাজার সংলগ্ন এলাকার নরেশচন্দ্র মগ, আগরতলা রামনগরের অঞ্জলি দাস, দক্ষিণ ত্রিপুরা উদয়পুর খিলপাড়ার প্রবাল শুক্লদাস, ত্রিপুরা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্র সুধন মগ। বাইক দুর্ঘটনায় জখম হয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন সুধন। তপন সাহা নামে ত্রিপুরার এক রোগীকে চারতলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বনমালীপুরের বাসিন্দা অসিত চক্রবর্তী (৪৬) ‘ওপেন হার্ট সার্জারি’ করাতে ডিসেম্বরের গোড়ায় আমরিতে আসেন। অসিতবাবুর মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী জানান, জমি বিক্রি করে অস্ত্রোপচারের টাকা সংগ্রহ করতে হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচারের পর আইসিইউ-এ ছিলেন, সুস্থই হয়ে উঠছিলেন। পশ্চিম ত্রিপুরার ধলেশ্বরের বাসিন্দা শম্পা চৌধুরী (৩০) ত্রিপুরার টিএসআর ক্যাম্প কোয়াটার্সে থাকতেন। এক দুর্ঘটনায় তাঁর পা জখম হয়। চিকিৎসা করাতে আমরি হাসপাতালের ওপিডি-তে গিয়েছিলেন। দু’এক দিন বাদেই ত্রিপুরায় ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। বিলোনিয়ার নরেশচন্দ্র মগ (৪৬) শিক্ষা দফতরের কর্মী। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে অসুস্থ নরেশকে ৯ নভেম্বর আমরিতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দু’দিন আগে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবার তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়।
|
হাসপাতাল পরিদর্শনে নতুন কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কলকাতার ঢাকুরিয়ায় বেসরকারি হাসপাতলে অগ্নিকাণ্ডের পরে নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। জেলার সমস্ত হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও নার্সিংহোমের অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকেই জেলাস্তরের এই পরিদর্শক দল নার্সিংহোম এবং হাসপাতালগুলিতে যাবে। শুক্রবার জেলা পরিষদের অফিসে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা পরিষদের আধিকারিকেরা জরুরি বৈঠক করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরিদর্শন কমিটিতে থাকবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও দমকলের আধিকারিকেরা। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়া অন্তত ১৪০টি নার্সিংহোম আছে। এই সব হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতার দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নি-নির্বাপণ-সহ অন্য জরুরি ব্যবস্থা ঠিক অবস্থায় আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সব বেসরকারি নার্সিংহোম ও সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন কমিটির সদস্যেরা। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দাস বলেন, “জেলার নার্সিংহোম, সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়মিত পরিদর্শন করি। কলকাতার দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজই জেলার সমস্ত নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলিকে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের অগ্নি-নির্বাপণ, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার পাশাপাশি জরুরি সময়ে রোগীদের উদ্ধারের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
স্বাস্থ্যবিমা যোজনা নিয়ে জেলা পরিষদের কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার উপভোক্তারা যোজনায় চিহ্নিত নার্সিংহোমগুলি থেকে প্রাপ্য চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে যে অভিযোগ উঠছেতার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। এই বিমা যোজনায় জেলার চিহ্নিত নার্সিংহোমগুলির অধিকাংশ উপভোক্তা রোগীদের চিকিৎসা না করে ফেরৎ পাঠাচ্ছে বা বাড়তি টাকা দাবি করছে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। যদিও এই বিমা যোজনার উপভোক্তারা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমার সুযোগ পেতে পারেন। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতেই গত বুধবার জেলা পরিষদের এক বৈঠকে তদন্ত-কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি জেলার মুখ্য-স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেও জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। যে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে তাতে থাকছেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, ডেপুটি সিএমওএইচ এবং স্বেছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় পূর্ব মেদিনীপুরের ৪টি মহকুমায় প্রায় ৩৬ লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন। পরিষেবার জন্য জেলায় চিহ্নিত নার্সিংহোমের সংখ্যা অবশ্য মাত্রই ৩৬টি।
|
‘এইমস’ নিয়ে তরজা চলছেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলের বিরোধ থেকেই গেল। রায়গঞ্জে এই হাসপাতাল গড়ার দাবি নিয়ে গতকাল তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর আজ তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধি দল দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে। তাঁদের দাবি, যে হেতু রায়গঞ্জে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা রয়েছে, তাই কল্যানীতেই ওই হাসপাতাল গড়ার কাজ শুরু হোক। মনমোহন সিংহ সুদীপবাবুকে জানিয়েছেন, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মন্ত্রিত্বের সময় স্থির হয়েছিল রায়গঞ্জেই এই হাসপাতাল হবে। কিন্তু এখন রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। কাল দীপা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমায় বলেছিলেন প্রকল্পের সঙ্গে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আবেগ জড়িত। তাঁর কথা যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছি।”
|
ফুলেশ্বরের হাসপাতালে অন্তর্বিভাগ চালু হল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালের অর্ন্তবিভাগ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই আজ, শনিবার চালু হবে। যদিও এএমআরআই-এর ঘটনায় ‘শোকাহত’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আসার থাকার কথা ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিৎসক শুভাশিস মিত্র বলেন, “চিকিৎসার ইতিহাসে এ এক বেদনাময় মুহূর্ত। চিকিৎসা পণ্য নয়, পরিষেবা। সেই বিজ্ঞান মেনেই সঞ্জীবন চিকিৎসার মানবিক মুখ নিয়ে রোগীদের সমস্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত।” ওই হাসপাতালের বর্হিবিভাগ এক বছর আগেই চালু হয়ে গিয়েছে।
|
দমকলের ছাড়পত্র নেই এইমসেও |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
খোদ দিল্লির কয়েকটি বড় ও নামী হাসপাতালের নানা বিভাগে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। দমকলের ছাড়পত্র ছাড়াই তারা কাজ করে চলেছে। এর মধ্যে এইমস-এর ভিভিআইপি ওয়ার্ড বা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের নতুন তৈরি ট্রমা সেন্টারও আছে। কলকাতায় আমরিতে আগুন লেগে বহু মানুষের প্রাণহানির পরে দিল্লির হাসপাতাল সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে এই চমকপ্রদ তথ্য মিলেছে। দমকল বিভাগের অধিকর্তা এ কে শর্মা জানান, অগ্নিবিধি মানায় এই হাসপাতালগুলির কিছু খামতি রয়েছে। তাই ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
|
স্মারকলিপি |
হাসপাতালগুলির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার দাবিতে সিএমওএইচ-কে স্মারকলিপি দিল ডিওয়াইএফআই। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে সিএমওএইচের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ফুলমায়া রুচালের (৭২) মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। |
|